গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
প্রায় গোটা একটা দিন কেটে গেল। জয়া-কঙ্গনা সংঘাত এখনও অব্যাহত। আরও এক বার বলিউডের ‘ফার্স্ট লেডি’-কে টুইট করে আঘাত শানালেন ‘কুইন’।
বিজেপি সাংসদ রবি কিশনের মন্তব্যের প্রতিবাদ করে রাজ্যসভায় জয়া বলেছিলেন, তিনি যে থালায় খাচ্ছেন সেই থালাকেই ফুটো করছেন। রবি বলেছিলেন, বলিউডের বেশির ভাগ শিল্পীই মাদকাসক্ত। সেই কথা শুনেই বেজায় চটেছিলেন সমাজবাদী নেত্রী। একহাত নিয়েছিলেন অভিনেতাকে।
বুধবার সকালে ফের সরব হন কঙ্গনা। টুইটে লেখেন, “ইন্ডাস্ট্রিকে আপনি কোন থালা সাজিয়ে দিয়েছেন জয়াজি? একটা থালা পেয়েছিলাম যেখানে দু’মিনিটের আইটেম নম্বর এবং একটা রোম্যান্টিক দৃশ্যে অভিনয় করার বদলে নায়কের সঙ্গে বিছানায় যাওয়ার প্রস্তাব সাজানো ছিল। এই ইন্ডাস্ট্রিকে নারীবাদ আমি শিখিয়েছি। নারীবাদী, দেশপ্রেমের ছবি দিয়ে ইন্ডাস্ট্রির থালা সাজিয়েছি। এই থালা আমার নিজের জয়াজি, আপনার নয়।”
আরও পড়ুন: ‘সব শুনে মনে হচ্ছে, এখানে মাতালেরা ঘুরে বেড়ায়, তা কিন্তু নয়’
কড়া ভাষায় তিনি বর্ষীয়ান অভিনেত্রীকে বুঝিয়ে দিতে চাইছেন, বলিউডে ‘কুইন’ নিজেই তাঁর জায়গা তৈরি করে নিয়েছেন। কোনও অনৈতিকতাকে বিন্দুমাত্র জায়গা ছাড়েননি। তাই আজও অন্যায়ের বিরুদ্ধে গলা তুলেছেন।
বলিউডের সঙ্গে মাদক যোগের প্রসঙ্গকে জয়ার এ ভাবে নস্যাৎ করে দেওয়া মানতে পারেননি কঙ্গনা। মঙ্গলবার তিনি টুইট করে জয়াকে প্রশ্ন করেন, “আমার জায়গায় আপনার মেয়ে শ্বেতাকে যদি বলিউডে হেনস্থা হতে হত, মাদক নিতে বাধ্য করা হত, শারীরিক নির্যাতন করা হত, তা হলেও কি আপনি একই ভাবে বলিউডকে সমর্থন করতেন? আপনার ছেলে অভিষেক যদি দুর্ব্যবহার সহ্য না করে গলায় ফাঁস দিত, এই জায়গাটিকে ‘নর্দমা’ বলে মনে হত না আপনার?”
বর্ষীয়ান অভিনেত্রী এই টুইটের জবাব না দিলেও, বলিউডের একাংশ তাঁর পাশে দাঁড়ান। সোনম কপূর, তাপসী পান্নু থেকে শুরু করে ফারহান আখতার, প্রযোজক অনিল শর্মা, নাগমা— প্রত্যেকেই জয়াকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ‘পুশ পূজা পুশ!’ প্রথম সাধে অভিনেত্রীকে পরামর্শ আত্মীয়দের
ইন্ডাস্ট্রির হয়ে গলা তুলে সেখানকার মানুষজনদের পাশে পেয়েছেন জয়া। কিন্তু তাঁর মন্তব্য হজম করতে পারেননি, এমন মানুষের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। সূত্রের খবর, মুম্বই পুলিশ আজ থেকে বচ্চন পরিবারের নিরাপত্তা আরও দৃঢ় করেছে। ‘জলসা’-র বাইরে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা।
এই বাগযুদ্ধের আঁচ কি বলিউডের সবথেকে শক্তিশালী পরিবারের ব্যক্তিগত জীবনে এসে পড়ছে? কোথায় গিয়ে থামবে এই তরজা? আপাতত নিশ্চুপ জয়া।