(বাঁ দিকে) ডোনাল্ড ট্রাম্প (ডান দিকে) কঙ্গনা রানাউত। ছবি: সংগৃহীত।
আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সরাসরি তার সঙ্গে ভারতের কোনও যোগ নেই। কিন্তু একবিংশ শতাব্দীর তৃতীয় দশকে পৃথিবীটা ছোট হয়ে গিয়েছে। এক দিকে যেমন ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকানের সংখ্যা বেড়েছে। তেমনই আম ভারতীয় নাগরিকেরও সচেতনতা এবং উৎসাহ বেড়েছে বিশ্ব রাজনীতি নিয়ে।
ভারতীয় সময় অনুযায়ী বুধবার সকাল থেকেই গণণা শুরু হয়ে গিয়েছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের। অনেকখানি এগিয়ে রয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাঁচ বছর আগে ট্রাম্প যখন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখনই ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর সখ্য প্রকাশ পেয়েছিল।
অন্য দিকে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস। আমেরিকায় হ্যারিসের জনপ্রিয়তা কম নয়। সে দেশের খ্যাতনামীদের একাংশ প্রথম থেকেই কমলার পক্ষ ছিলেন। বিশেষত মহিলারা। ইস্যুভিত্তিক ভোটে এ বার আমেরিকায় অভিবাসন নীতির পাশাপাশি গুরুত্ব পেয়েছে গর্ভপাতের অধিকারও। তাই মহিলাদের সমর্থন ছিল কমলার দিকে।
সেখানে ভারতীয় অভিনেত্রী তথা বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাউত খোলাখুলি সমর্থন জানালেন ট্রাম্পকে। তাঁকে ‘টোটাল কিলার’-এর আখ্যা দিয়ে প্রশংসা কঙ্গনা। সমাজমাধ্যমে ট্রাম্পের ছবি ভাগ করে নিয়ে তিনি জানালেন এই মুহূর্তে আমেরিকায় থাকলে কী করতেন?
কঙ্গনা নিজের ইনস্টাগ্রামে পেনসিলভানিয়ার সমাবেশে ট্রাম্পের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ছবি দিয়ে লেখেন, ‘‘আমি এই সময় আমেরিকা থাকলে ট্রাম্পকে ভোট দিতাম। গুলি লাগার পর উঠে দাঁড়িয়ে ভাষণ শেষ করেছেন যে ভাবে, এক কথায় ‘টোটাল কিলার’।’’ চলতি বছর জুলাই মাসে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে গুলি লাগে ট্রাম্পের। পেনসিলভেনিয়ার বাটলারের একটি সভায় গিয়েছিলেন ট্রাম্প। তাঁর কথা শোনার জন্য প্রচুর মানুষের জমায়েত হয়েছিল। মঞ্চে উঠে কথা বলতে শুরু করেন ট্রাম্প। তখনই গুলি ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। দেখা যায়, ট্রাম্পের ডান দিকের কানের পাশ থেকে রক্ত বেরোচ্ছে। তাঁর মুখেও রক্তের দাগ দেখা যায়। তবু উঠে দাঁড়িয়ে হাত মুঠো করে আকাশের দিকে ছোড়েন ট্রাম্প। সেই ছবি নিমেষে ভাইরাল হয় নেটপাড়ায়। সভায় উপস্থিত বাকিরাও নিচু হয়ে বসে পড়েন। দ্রুত সেখান থেকে ট্রাম্পকে সরিয়ে নিয়ে যান তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা। তবে ট্রাম্পের সেই ছবি যে ভাবে ছড়িয়ে পড়ে নেটপাড়ায় তাতে সেই ছবি দিয়ে টি-শার্ট ও বিক্রি হয় আমেরিকায়।