(বাঁ দিকে) জয়া বচ্চন। কঙ্গনা রানাউত। ছবি: সংগৃহীত।
দু’জনেই নিজের মর্জির মালিক। তাঁদের মেজাজের তল পাওয়া বেশ শক্ত। দু’জনেই সাংসদ-অভিনেত্রী। তবে, সংসদে একজন বসেন নিম্ন কক্ষে শাসকাসনে, অন্য জন উচ্চ কক্ষে বিরোধীদের দিকে। কঙ্গনা রানাউত এবং জয়া বচ্চন।
অনেকে কঙ্গনার ব্যবহরে জয়ার ছায়া দেখতে পান। জয়ার মেজাজ সপ্তমে চড়ে যায় আলোকচিত্রীদের দেখলে। এ দিকে কঙ্গনা দিনরাত সুর চড়াচ্ছেন বলিউড তারকা ও তাঁদের সন্তানদের বিরুদ্ধে। নেটমহলে এই দুই অভিনেত্রীকে নিয়ে মিমের ছড়াছড়ি। যদিও দু’জনের কেউই এ সব বিষয়কে পাত্তা দিতে নারাজ। এমন একটা সময় ছিল, যখন কঙ্গনার নাম না করেই তাঁকে কটাক্ষ করেছিলে জয়া। এমনকি, বছর দুয়েক আগে একটি অনুষ্ঠানে জয়াকে দেখে কুশল বিনিময় করতে গেলেও এড়িয়ে যায় অমিতাভ-পত্নী। এ বার জয়াকে নিয়ে কেমন মনোভাবে কথা ব্যক্ত করলেন কঙ্গনা?
জয়াকে ইন্ডাস্ট্রির সব থেকে মর্যাদা সম্পন্ন নারী হিসাবেই দাবি করলেন কঙ্গনা। অভিনেত্রীর কথায়, “জয়া বচ্চন চলচ্চিত্র জগতে খুব নামী অভিনেতা। সত্যি বলতে, তিনি একটু বদমেজাজি হিসেবেই পরিচিত, কিন্তু একটা বিষয়ে ওঁকে যথাযথ কৃতিত্ব দিতে চাই। ১৯৭০-এর দশকে, নারীকেন্দ্রিক ছবিতে কাজ করেছেন জয়াদেবী। যে সময় কেউ এমন ভাবতেও পারত না, তখনই ‘গুড্ডি’র মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন। নারী ক্ষমতায়নের বার্তা দিয়েছেন। তিনি যে ভাবে রাজ্যসভায় নিজেকে তুলে ধরেন, আমার খুব ভাল লাগে।”
২০২০ সালে সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পর যখন প্রতিনিয়ত সিনে জগৎকে দুষছেন কঙ্গনা, সেই সময় জয়া কটাক্ষ করেন, যে থালায় খাচ্ছেন-পরছেন, সেই থালায়ই ফুটো করছেন অভিনেত্রী। তবে, সে সব কথা মনে রাখেননি কঙ্গনা। তাঁর কথায়, “জয়াদেবী আমার চেয়ে বয়সে বড়। তিনি যদি কিছু বলে থাকেন, তা হলে আমাদের তা গ্রহণ করা উচিত।”