নাগমা এবং কঙ্গনা।
স্বজনপোষণ নিয়ে প্রতিবাদী কঙ্গনার নিজের কেরিয়ারই নাকি নেপোটিজমে ভরা, মিম শেয়ার করে বলেছিলেন নাগমা। কঙ্গনাও ছাড়ার পাত্রী নন। দু’দিন কাটতে না কাটতেই তাঁর টিম পাল্টা জবাব দিলেন নাগমাকে। গত বুধবার টুইটারে একটি মিম শেয়ার করেছিলেন নাগমা। আদিত্য পাঞ্চোলি, মহেশ ভট্ট থেকে ইমরান হাসমি-- কেরিয়ারের শুরুতে এঁদের প্রত্যেকের সাহায্যই যে পেয়েছেন নাগমা সে কথা মিমের মাধ্যমে শেয়ার করে নাগমার বক্তব্য, “বয়ফ্রেন্ড আদিত্য পাঞ্চোলি কঙ্গনাকে বলিউডে লঞ্চ করে... নেপোটিজম। কঙ্গনার প্রথম ছবির প্রযোজক ছিলেন মহেশ ভট্ট... তাও নেপোটিজম। প্রথম ছবির নায়ক ইমরান হাসমি... তিনিও ভট্ট পরিবারের। যখন কঙ্গনার কেরিয়ার ভেস্তে যাচ্ছিল তখন হৃতিক তাঁর কেরিয়ার রি-লঞ্চ করেন। তা কি নেপোটিজম নয়? নিজের দিদি রঙ্গোলিকে ম্যানেজার করলেন কঙ্গনা, সেটাও তো স্বজনপোষণই।” তাঁর প্রশ্ন, সুশান্তের মৃত্যুর আগে তাঁকে কোনওদিনই সাহায্য না করা কঙ্গনা কেন আজ হঠাৎ করেই নেপোটিজম নিয়ে এতটা সরব?
শুনবেন অথচ চুপ করে থাকবেন, কঙ্গনা এবং তাঁর টিম মোটেই তেমন নয়। তাই ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই ওপার থেকেও উড়ে এল পাল্টা আক্রমণ। নাগমার প্রতিটি অভিযোগ ধরে ধরে উত্তর দিলেন কঙ্গনা এবং তাঁর টিম।
বয়ফ্রেন্ড আদিত্য পাঞ্চোলি কঙ্গনাকে বলিউডে লঞ্চ করেছেন এ কথার তীব্র বিরোধিতা করে কঙ্গনার টিমের বক্তব্য, "পাঞ্চোলি কখনই কঙ্গনার বয়ফ্রেন্ড ছিল না। কঙ্গনা ভেবেছিল সে ওর মেন্টর। পরে বুঝতে পারল টরমেন্টর।” মহেশ ভট্টর প্রসঙ্গে কঙ্গনার বক্তব্য, “উনি কঙ্গনার অডিশন নিয়েছিলেন। এখানে নেপোটিজম কী করে আসে?” দিদি রঙ্গোলিই কঙ্গনার ম্যানেজার। নাগমার সেই কটাক্ষে তাঁর টিমের বক্তব্য, “কোনও এজেন্সি কঙ্গনার হয়ে কাজ করতে চাইত না। কারণ, কঙ্গনা তো বাকিদের মতো বিয়েবাড়িতে গিয়ে নাচবে না। সে সময় রঙ্গোলিও ইংরাজিতে কথা বলতে পারত না। তাও কোনও রকমে কঙ্গনার সমস্ত কাজকর্ম দেখাশোনা করত ও। সুতরাং মিথ্যে কথা বলা বন্ধ করুন।” নাগমা-কঙ্গনার তরজায় যদিও নেটাগরিকরা ঝুঁকে কঙ্গনার দিকেই। অনেকরই বক্তব্য, “ভাগ্যিস কঙ্গনাকে নিয়ে কিছু বললেন নাগমা। নয়ত ওঁর অস্তিত্বের কথাই যে ভুলে গিয়েছিল সাধারণ মানুষ”।