(বাঁ দিকে)আলিয়া ভট্ট। (ডান দিকে) কঙ্গনা রানাউত। ছবি: সংগৃহীত।
আলিয়া ভট্টের বাবা মহেশ ভট্টের মাধ্যমে হিন্দি সিনেমায় তাঁর অভিষেক। তবু ভট্ট পরিবারকে দু’চক্ষে দেখতে পারেন না কঙ্গনা রানাউত। কখনও আলিয়ার বাবাকে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন, কখনও আবার আলিয়ার প্রতিভাকে স্বজনপোষণ বিতর্কে জুড়ে দিয়েছেন। নানা কটু কথা বলেছেন আলিয়ার দাম্পত্য জীবন নিয়েও। যদিও পাল্টা কোনও মন্তব্য করতে যাননি আলিয়া। আলিয়ার ছবি ‘গঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়ি’ ১০০ কোটির গণ্ডি ছুঁতেই আলিয়ার সমালোচনা করতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে। এ বার জাতীয় পুরস্কার মঞ্চে জয়ী আলিয়া। প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে ‘থালাইভি’-এর জন্য মনোনীত ছিলেন কঙ্গনাও। এর আগে কঙ্গনা চার বার জাতীয় পুরস্কার পেলেও এ বার বাজিমাত করলেন আলিয়াই। মহেশ-কন্যার জয়ে এ বার অভিমানী কঙ্গনা।
আগে চার বার জিতলেও এ বার হাতছাড়া হল জাতীয় পুরস্কার। এই সম্মান না পওয়ার ব্যর্থতায় কৃষ্ণনাম শোনা গেল কঙ্গনার কণ্ঠে। তিনি বলেন, ‘‘কৃষ্ণ আমাকে অঢেল দিয়েছে।’’ যদিও বিভিন্ন বিভাগে জয়ীদের শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়ে অভিনেত্রী লেখেন, ‘‘২০২৩ সালের সব জাতীয় পুরস্কার বিজয়ীকে শুভেচ্ছা। এটা শিল্পের উদ্যাপন, যেখানে দেশের সব শিল্পী জড়ো হন। বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় কেমন দারুণ সব কাজ হচ্ছে, সেটা জানা যায়। আমার ‘থালাইভি’ কোনও পুরস্কার জিতল না বলে যাঁদের মনখারাপ, তাঁদেরকে বলব, কৃষ্ণ আমাকে অঢেল দিয়েছেন। আপনাদের ভালবাসা আর প্রশংসাই আমার সম্বল। আমি বিশ্বাস করি জুরির সদস্যেরা সেরাদেরই নির্বাচিত করেছেন। হরে কৃষ্ণ।’’ তবে শুধু আলিয়া নন, ২০২৩ দুই অভিনেত্রী এই যুগ্ম ভাবে এই সম্মান পেয়েছেন। অভিনেত্রী কৃতি শ্যাননও ‘মিমি’ ছবির জন্য পেলেন স্বীকৃতি। নারীকেন্দ্রিক ছবিতে দুই অভিনেত্রী তাঁদের অভিনয়ের মাধ্যমে মন জয় করেছেন জুরির।