অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। ছবি: সংগৃহীত।
মঙ্গলবার সকাল থেকে দেশের নামবদল নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত। ‘ইন্ডিয়া’ না কি ‘ভারত’— এই বিতর্ক এখন সমাজমাধ্যম জুড়ে। পিছিয়ে নেই তারকারাও। জি২০ বৈঠক উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ডাকা নৈশভোজের আমন্ত্রণপত্রে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া’র পরিবর্তে লেখা হয়েছে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’। এর পর থেকেই বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে, দেশের নাম কি আর ‘ইন্ডিয়া’ থাকবে না? বদলে গিয়ে ‘ভারত’ হবে। এমন বিষয়ে কঙ্গনা রানাউত মনে করেন, ইন্ডিয়া নয়, বরং ভারত নামই হওয়া উচিত। অভিনেত্রীর দাবি, বছর দু’য়েক আগেই নাকি দেশের নাম বদলের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন তিনি।
২০২১ সালে কঙ্গনা একটি অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন ‘ইন্ডিয়া’ নাম থেকে দূরে থাকা উচিত, আমরা ভারতীয় এবং আমাদের দেশ ভারত। ‘ইন্ডিয়া’ দাসত্বের প্রতীক বলেই মত তাঁর। বছর দু’য়েক আগে তিনি যে কথা বলেছিলেন, সেটা নিয়ে এখন সরগরম দেশের রাজনীতি। বছর দু’য়েক আগে করা সেই বক্তব্য নিজের এক্স প্রোফাইলে পুনরায় পোস্ট করেন অভিনেত্রী। তবে শুধু নিজের করা পোস্ট নয়। এক অনুরাগীর পোস্টও নিজের এক্স প্রোফাইলে পোস্ট করেছেন। সেখানেই অভিনেত্রীর প্রশংসা করে ওই অনুরাগী লেখেন, “সব সময়ই সময়ের চেয়ে এগিয়ে ভাবেন কঙ্গনা।” তাতেই পাল্টা উত্তর দিয়ে অভিনেত্রী লেখেন, ‘‘আরে লোকে ভাবে আমি কালাজাদু জানি। এটা সাধারণ বুদ্ধি। দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে পাওয়া নাম থেকে মুক্তি… জয় ভারত।’’
পাশপাশি ভারত নামের গুরুত্ব বুঝিয়ে কঙ্গনা বলেন, “ভারত নামের গুরুত্ব আছে, কিন্তু ‘ইন্ডিয়া’ নামের অর্থ কি? ব্রিটিশরা সিন্ধু উচ্চারণ করতে পারত না। তাই সেটা অপভ্রংশ করে ‘ইন্দুস’ করেছিল। তার পর কখনও ‘হিন্দুস’, কখনও ‘ইন্দুস’ এইসব বলতে বলতে ইন্ডিয়া নাম দিয়ে দিল। ইন্ডিয়া নামের মানে বোঝাতে গিয়ে কঙ্গনা বলেন, ‘‘পুরনো ইংরেজিতে ইন্ডিয়ান বলতে বোঝায় দাস। ব্রিটিশরা আমাদের ইন্ডিয়ান নামকরণ করেছিলেন। কারণ সেটাই (দাস) ছিল ব্রিটিশদের চোখে আমাদের পরিচয়। তাই আমরা ইন্ডিয়ান নই, ভারতীয়।’’