কঙ্গনা রানাওয়ত ফাইল চিত্র।
কৃষক আন্দোলন নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার জেরে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন কঙ্গনা রানাওয়ত। হিমাচল প্রদেশের একটি থানায় তিনি এ নিয়ে এফআইআর করেছেন। একই সঙ্গে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, এ সব খুনের হুমকিকে তিনি ভয় পান না।
মঙ্গলবার পঞ্জাবের অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে মা আশা রানাওয়ত এবং দিদি রঙ্গোলি চান্দেলের সঙ্গে একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন কঙ্গনা। ছবির সঙ্গে হিন্দিতে দীর্ঘ একটি লেখা পোস্ট করেন তিনি। সেখানে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘২৬/১১ হামলায় শহিদদের স্মরণ করছি। বিশ্বাসঘাতকদের ক্ষমা কররেন না। ২৬/১১-র মতো ঘটনার পিছনে দেশের ভিতরের বিশ্বাসঘাতকদের হাত রয়েছে। এই বিশ্বাসঘাতকেরা কখনও অর্থের লোভে, কখনও পদের লোভে, কখনও ক্ষমতার লোভে ভারতমাতাকে কলঙ্কিত করার একটি সুযোগও ছাড়েনি। দেশের অভ্যন্তরের বিশ্বাসঘাতকেরা ষড়যন্ত্র করে দেশবিরোধী শক্তিকে সাহায্য করতে থাকে’। এর পরেই তিনি লিখেছেন, ‘এই ধরনের বিঘ্নকারী শক্তি লাগাতার আমাকে হুমকি দিচ্ছে। ভাতিন্ডার এক ভাই আমাকে খুনের হুমকি দিয়েছেন। আমি এই সব হুমকিতে ভয় পাই না’।
এই বলিউড অভিনেত্রীর আশা যে ব্যক্তি তাঁকে খুনের হুমকি দিয়েছেন তাঁর বিরুদ্ধে পঞ্জাব সরকার ব্যবস্থা নেবে। কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর উদ্দেশে কঙ্গনা লিখেছেন, ‘আপনি এক জন মহিলা। আপনার শাশুড়ি তাঁর জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। পঞ্জাবে আপনার দলের মুখ্যমন্ত্রীকে নির্দেশ দিন এই সন্ত্রাসবাদী, বিঘ্নকারী এবং দেশবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে’।
এর আগে শিখ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগে কঙ্গনার বিরুদ্ধেও এফআইআর দায়ের হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণার পরে রুষ্ট অভিনেত্রী কৃষক আন্দোলনের প্রতি বিষোদ্গার করেছিলেন। কৃষকদের প্রতিবাদকে ‘খলিস্তানি আন্দোলন’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। তার প্রেক্ষিতে তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হতে পারে বলে মত অনেকের। বিরোধীদের একাংশের প্রশ্ন, সামনেই পঞ্জাব-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীর, বিজেপি ঘনিষ্ঠ কঙ্গনাকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠছে। এর পিছনে অন্য কোনও রাজনীতি নেই তো?