Kalki Koechlin

গায়ের রং ফরসা হলেই ‘বড়লোকের বেটি’? বলিউডে গাত্রবর্ণের বাতিক, বলছেন কলকি

গায়ের রং ফরসা বলে বলিউডে ব্রাত্য কলকি? পছন্দ মতো চরিত্র পান না বলে আক্ষেপ অভিনেত্রীর। জানালেন, গায়ের রংই চরিত্র নির্ধারণ করছে বলিউডে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২২ ১৭:৪০
Share:

বলিউডে ব্রাত্য কলকি? ফাইল চিত্র।

ইচ্ছে মতো চরিত্র চাইলেই কি আর পাওয়া যায়? বাধা হয়ে দাঁড়ায় গায়ের রং। ৩৮ বছরের অভিনেত্রী কলকি কেঁকলা ফরাসী বংশোদ্ভূত হলেও তিনি ভারতের নাগরিক। পুদুচেরিতে জন্মেছিলেন। কিন্তু জিনগত কারণে তাঁর গায়ের রঙে ইউরোপীয় আভা। তা নিয়ে হিন্দি ছবিতে কাজ করতে এসে বরাবরই একঘেয়ে চরিত্র পেয়েছেন বলে আক্ষেপ অভিনেত্রীর।

Advertisement

গায়ের রঙে প্রতিফলিত হয় বিত্ত, এখনও এমনই ধারণা দেশের আনাচেকানাচে। কলকিও সব সময়ে বড়লোকের মেয়ে হিসাবেই ধরা দিয়েছেন বলিউডে। সাধারণ কোনও চরিত্র করার সুযোগই পাননি। কলকি বললেন, “এক বার এক পরিচালক আমায় বলেছিলেন, “আমার মনে হয় এই চরিত্রে তুমি ভাল মতো মানাবে, কারণ মানসিক ভারসাম্যহীনের চরিত্রে অভিনয় করতে হবে।’’ সত্যিই হতাশ লাগে আমার।”

অনুরাগ কাশ্যপের সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন একগুচ্ছ নিরীক্ষামূলক ছবিতে তাক লাগিয়েছিলেন কলকি। তার মধ্যে ‘দেব ডি’ (২০০৯), ‘দ্য গার্ল ইন ইয়েলো বুটস’ (২০১০) দর্শকের মনে দাগ কেটে গিয়েছে। তার পর ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’ (২০১৩), ‘মারগারিটা উইথ আ স্ট্র’ (২০১৪)-এর মতো ছবিতেও নজর কেড়েছেন কলকি। তবে চরিত্রের দিক থেকে সবেতেই তিনি যেন ব্রাত্য হয়েই থেকেছেন এ দেশে, আক্ষেপ অভিনেত্রীর। তাঁর দাবি, “গায়ের রং দিয়েই সব কিছু বিচার হয় ইন্ডাস্ট্রিতে। আমি দেখেছি, শ্যামলা মেয়েদের বেশির ভাগ সময় পরিচারিকার চরিত্রে দেওয়া হয়। কিন্তু কেন!” শক্তিশালী চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ খোঁজেন তিনি।

Advertisement

তবে পরবর্তী ছবি ‘গোল্ডফিশ’-এ কাজ করতে পেরে রোমাঞ্চিত কলকি। সেখানে স্মৃতির রোগ ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত বর্ষীয়ান অভিনেত্রী দীপ্তি নভালের মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। এ ধরনের চরিত্র নিরীক্ষার সুযোগ দেয়, এমনই মনে করেন কলকি। যদিও ঝুঁকি ছিল। ছবির প্রস্তাব যখন এসেছিল, কোনও প্রযোজক পাওয়া যাচ্ছিল না ‘গোল্ডফিশ’-এর। শুরু থেকে অনিশ্চিত একটি প্রকল্প নিয়ে কার না ভয় হয়? তবে আশা রাখেন কলকি। বললেন, “লড়াইটা বুঝে করতে হবে। পরিচালক অচেনা হলে হয়তো রাজি হতাম না। কিন্তু পূষণ কৃপালনির প্রথম কাজ দেখেছি। আমি জানতাম, ঠিক জায়গায় এসেছি। চরিত্রের গভীরে ডুব দেওয়ার সুযোগ আমি ছাড়তে চাইনি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement