Funniest Memes

Kakoli Furnitures: মিস্টার বিন থেকে কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সবাই ভুগছেন ‘কাকলি’ ভাইরাসে

কাকলি ভাইরাস কী? কারা ভুগছেন এই ভাইরাসে?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০২১ ২১:৫৮
Share:

‘কাকলি’ ভাইরাসের কয়েকটি নমুনা

গত ২ দিন ধরে নতুন এক ভাইরাসে কাবু বিশ্ব। নেটমাধ্যম বলছে, এই ভাইরাস ছড়িয়েছে বাংলাদেশ থেকে। সংক্রমণে কাবু মিস্টার বিন থেকে পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার! নতুন ভাইরাসের নাম কী? নেটাগরিকেরা বলছেন ‘কাকলি’ ভাইরাস।

Advertisement

সম্প্রতি, বাংলাদেশে কাকলি ফার্নিচারের একটি বিজ্ঞাপন তুমুল জনপ্রিয় হয়। বিজ্ঞাপনে দেখা গিয়েছে, ২টি ছোট মেয়ে প্রায় যন্ত্র মানবের ভঙ্গিতে আসবাবের ওপর লাফাচ্ছে আর বলছে, ‘দামে কম মানে ভাল....’ এই বিশেষ ফার্নিচার। প্রতিবেশী দেশের বিজ্ঞাপনটি সঙ্গে সঙ্গে লুফে নিয়েছে ভারতের নেটাগরিকেরা।

সংক্রমণ, একের পর এক মৃত্যু, প্রাকৃতিক দুর্যোগে যখন সবাই অবসন্ন তখনই এই বিজ্ঞাপন মিম হয়ে ঘুরছে নেটাগরিকদের পাতায় পাতায়। মিমের ব্যবহারও দেখার মতো। মিস্টার বিন তাঁর বিছানার ওপরে বসে বসে লাফাচ্ছেন। সেই ভিডিয়োয় যোগ করে দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞাপনের বার্তা। সিআইডি ধারাবাহিকের তদন্তকারী অফিসারেরা হতাশ। বিশেষ সংস্থার দরজা লাগানোয় কিছুতেই সেটা ভাঙতে পারছেন না তাঁরা!

Advertisement

‘কাকলি’ ভাইরাসের আরও কয়েকটি নমুনা

মিম থেকে দূরে নেই বাংলা সিনে দুনিয়াও। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘দ্বিতীয় পুরুষ’ ছবির ২টি দৃশ্য বেছে নেওয়া হয়েছে মিম বানাতে। রাইমা সেনের সঙ্গে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় আর রাইমা ছাড়া পরমব্রত-র অবস্থা কেমন? বর্ণনা দিতে গিয়েও ধার নিয়ে হয়েছে বিজ্ঞাপনী বার্তার। মিমে দাবি, রাইমা ছাড়া পরমব্রত-র জীবন বিশেষ সংস্থার ফার্নিচার ছাড়া ঘরের মতোই ফাঁকা ফাঁকা! এমনকি ওই পরিচালকের ‘গুমনামী’ ছবির ২টি দৃশ্য নিয়ে অনির্বাণ ভট্টাচার্যের মুখেও বসানো হয়েছে বিশেষ সংলাপ। একটিতে অনির্বাণ সবাইকে এই বিশেষ সংস্থার আসবাব ব্যবহারের অনুরোধ জানিয়েছেন। অন্যটিতে তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন, এই আসবাব ছাড়া তিনিও চলতে পারবেন না! আফসোস, তাঁর ঘরে এই আসবাব নেই।

পিছিয়ে নেই টেলিপাড়াও। নেটমাধ্যমে পুরনো ছবি শেয়ার করছেন স্বস্তিকা দত্ত। সেখানে জ্বলজ্বল করছে শোভন গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘দামে কম মানে ভাল...’! শ্রুতি দাস নিজেই নিজের ছবিতে মন্তব্য করেছেন বিজ্ঞাপনী বার্তা দিয়ে। তার পরেই জানিয়েছেন, ‘ওই সংস্থা তো আমায় অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার করেনি। কেন প্রচার করব লকডাউনের বাজারে? তাও আবার বিনামূল্যে!’

রেহাই পাননি শাসকদলের কাকলি ঘোষ দস্তিদারও। এই মিমে সামিল তিনিও। কী ভাবে? তাঁর ক্ষেত্রে নারদ কাণ্ডের ছবি দিয়ে একটু বদলে দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞাপনের বার্তা, ‘মানে কম দামে ভাল...’!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement