মেয়ে নায়সা এখনই জনপ্রিয়। গর্বিত কাজল। সৌজন্যে-ইনস্টাগ্রাম।
তিনি কাজল এবং অজয় দেবগনের মেয়ে নায়সা। নেটমাধ্যমে তাঁকে ঘিরে জল্পনার অন্ত নেই। নায়সা দেবগনের নিজস্বী হোক বা ঘোরাফেরার ছবি— সবেতেই হামলে পড়েন, এমন অনুরাগীর সংখ্যাও বড় একটা কম নয়। কাজল এবং অজয়ের মতো নায়সাকেও পর্দায় দেখতে মুখিয়ে রয়েছেন তাঁর অনুরাগীরা। অনেকে তো আবার দাবি করে বসেছেন, ২০২৩ সালেই বলিউড ফিল্মে দেখা যাবে নায়সাকে। যদিও নায়সা কিংবা তাঁর বাবা-মা, এই বিষয়ে কেউ-ই স্পষ্ট করে কিছুই জানাননি। এই মুহূর্তে সিঙ্গাপুরে স্কুলে পড়ছেন বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় এই তারকা-সন্তান। পড়াশোনার ফাঁকে কখনও তাঁকে দেখা গিয়েছে ইনস্টাগ্রামের পাতায়। কখনও আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজস্বী তুলছেন। কখনও বা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে রেস্তরাঁয় বসে চুটিয়ে আড্ডা দিচ্ছেন। নায়সার প্রায় প্রতি মুহূর্তের হালহকিকত জানা যায় তাঁর সমাজমাধ্যমের পাতায়। তবে সে ভাবে প্রচারের আলোয় না এসেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন নায়সা। রীতিমতো অটোগ্রাফ বিলোচ্ছেন কাজলের মেয়ে, জানালেন গর্বিত মা কাজল।
নায়সার মতো কাজলও তারকা-সন্তান, তনুজা ও সোমু মুখোপাধ্যায়ের মেয়ে তিনি। কিন্তু ফিল্মি পরিবার থেকে এসেও এত কম বয়সে জনপ্রিয়তা পাননি তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কাজল জানান, তাঁরা যে সময় বড় হয়েছেন, তখন সমাজমাধ্যমের রমরমা না থাকায় যে ভাবে খুশি ঘুরে বেড়াতে পেরেছেন। কাজলের কথায়, ‘‘আমাদের জীবনটা অনেক সহজ ছিল। কিছু মানুষ জানতেন আমি তনুজার মেয়ে, ওই অতটুকুই। কিন্তু এখনকার মতো নয়। সিঙ্গাপুরেও লোকজন বাস থামিয়ে নাইসার স্বাক্ষর নিয়েছে।’’
পাঁচ বছরের প্রেম। তার পর ১৯৯৯ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন কাজল-অজয়। ২০০৩ সালে জন্ম নায়সার। তারও বেশ কয়েক বছর পর ছেলে যুগের জন্ম ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে।
প্রশ্ন, তা হলে কি আগামী বছরে বলিউডে অভিষেক ঘটবে নায়সার? কাজল জানিয়েছেন, নিজের মতকে ছেলে যুগ বা মেয়ে নায়সার উপরে চাপিয়ে দেবেন না। নায়সা ফিল্মে অভিনয় করতে চাইলে বরং উৎসাহই দেবেন।