মহাকুম্ভে কবীর খানের পুণ্যস্নান। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
১২ বছর অন্তর বসে মহাকুম্ভের মেলা। কোটি কোটি পুণ্যাথীর ভিড় এখন প্রয়াগরাজে। বলিউড তারকা থেকে সাধারণ মানুষের ঢল নেমেছে সেখানে। সম্প্রতি মহাকুম্ভে সন্ন্যাস গ্রহণ করেছেন অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি। এ ছাড়া অনুপম খের থেকে রেমো ডিসুজ়ার মতো তারকা গিয়েছেন ডুব দিতে। মহাকুম্ভে হলিউড অভিনেত্রী ডাকোতা জনসনকে নিয়ে সেখানে পৌঁছন ‘কোল্ডপ্লে’ ব্যান্ডের প্রধান গায়ক ক্রিস মার্টিন। এ বার প্রয়াগে এসে পৌঁছলেন বলিউডের খ্যাতনামী পরিচালক কবীর খান।
মুসলিম ধর্মাবলম্বী হয়ে কবীর এই মহাকুম্ভে পুণ্যস্নান করবেন। কারণ এই মহাকুম্ভ সম্প্রীতির। ভারতীয় ঐতিহ্যে ধর্মবিভাজনের কোনও স্থান নেই। কবীরের কথায়, ‘‘১২ বছর বাদে এমন একটা অনুষ্ঠান হয়। আমি খুব খুশি যে মহাকুম্ভে পুণ্যস্নান করব। এটাই বিশ্বে সব থেকে বড় আধ্যাত্মিক সমাবেশ।’’
২০০৬ সালে ‘কাবুল এক্সপ্রেস’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন কবির। তালিবান-পরবর্তী সময়ের বিধ্বস্ত আফগানিস্তানকে ফুটিয়ে তুলেছিল সেই ছবি। তার পর একের পর এক ছবি করেছেন, যেখানে বার বার উঠে এসেছে দেশের সংহতি, একতা, সম্প্রীতির কথা। যেমন ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ ছবিতে উঠে এসেছে ভারতের সহিষ্ণুতার কথা। ‘এক থা টাইগার’, ‘৮৩’ ছবিতেই দেশাত্মবোধকেই উস্কে দিয়েছেন কবীর। তাই মহাকুম্ভ স্নান প্রসঙ্গে কোনও রকমের ধর্মীয় বিভাজন মানতে নারাজ তিনি। বরং এটাই যে দেশের ঐতিহ্য সেটা স্পষ্ট করে বলেন, ‘‘এটা আসলে হিন্দু-মুসলিমের ব্যাপারই নয়। এটা আমাদের দেশের সংস্কৃতি ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িয়ে। আপনি ভারতীয় হলে অবশ্যই এর সঙ্গে একাত্মতা অনুভব করবেন।’’