মমতার সন্ন্যাসগ্রহণ, তীব্র সমালোচনা রামদেবের। ছবি: সংগৃহীত।
এক সময়ে বলিউডের পয়লা নম্বর নায়িকাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অভিনয় করেছেন মমতা কুলকার্নি। কেরিয়ারে হিট ছবির সংখ্যাও কম নয়। সঙ্গে বিতর্কও রয়েছে মমতার জীবনে। কেনিয়ায় মাদক-যোগে তাঁর নাম জড়িয়েছিল। অবশেষে ছাড়পত্র পেয়ে ২৫ বছর পরে দেশে ফেরেন তিনি। তার পরই গেরুয়া বসন গায়ে জড়ালেন অভিনেত্রী। মহাকুম্ভমেলায় সন্ন্যাস নিলেন তিনি। তাঁর এই সন্ন্যাসগ্রহণ ভাল চোখে দেখেননি বাবা রামদেব। তিনি তীব্র সমালোচনা করেন।
মহাকুম্ভের কিন্নর আখড়ায় বৈদিক মন্ত্র জপের মাধ্যমে ‘মহামণ্ডলেশ্বর’ রূপে সন্ন্যাস গ্রহণ করেন মমতা। পিণ্ডদানের রীতিও পালন করেন। সন্ন্যাস নেওয়ার সময়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন মমতা। গেরুয়া বস্ত্র, গলায় রুদ্রাক্ষের মালা ও এলোচুল, কপালে তিলক। এই ভাবেই জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করলেন। মন্ত্রপাঠের সঙ্গে চলছিল সন্ন্যাসধারণের প্রক্রিয়া। এমনই এক মুহূর্তে কেঁদে ফেলেন মমতা। তাঁর গলায় পরিয়ে দেওয়া হয় এক নতুন মালা। উপস্থিত সন্ন্যাসিনীরা তাঁর মাথায় ঢেলে দেন দুধ। দুধস্নানের পরে আরও এক গেরুয়া বস্ত্রে মুড়ে দেওয়া হয় মমতাকে। একে একে সবাই ফুলের মালা পরিয়ে দেন তাঁকে। এই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। মমতার সন্ন্যাসগ্রহণ ভাল চোখে গ্রহণ করেননি রামদেব বাবা। তাঁর কথায়, ‘‘বিশ্বের যাবতীয় কিছু ভোগ করে আচমকা সন্ন্যাসী হওয়ার ইচ্ছে। ভাবছে এক দিনেই মহামণ্ডলেশ্বর তকমা পেয়ে যাবে।’’
রামদেব আরও বলেন, ‘‘ নিজেকে ‘বাবা’ তকমা দিয়ে মহাকুম্ভে প্রচার পাওয়ার চেষ্টা করেছে অনেকে। সেটাও মেনে নেব না। কুম্ভের আসল সারমর্ম হল মানবতা, দেবত্ব, সাধুত্ব তুলে ধরা। সনাতন ধর্ম একটা অনুভূতি, চিরন্তন সত্য, যা অস্বীকার করা যায় না। তাকে নিয়ে হেলাফেলাও করা যায় না।’’ মমতা অবশ্য আগেই জানিয়েছিলেন, আচমকা নয়, গুরুর আদেশেই এই পথে শামিল হয়েছেন তিনি।