সেনগুপ্ত দম্পতির ১৭তম বিবাহ-বার্ষিকী ছিল শনিবার।
যিশু সেনগুপ্ত কি শনিবার সকাল থেকেই গুনগুন করেছেন, ‘সে প্রথম প্রেম আমার নীলাঞ্জনা’?
নীলাঞ্জনা এবং যিশু যে ১৭ বছর পরেও ‘দু’জনেই দু’জনাতে মুগ্ধ’ বুঝিয়ে দিয়েছে শনিবারের ইনস্টাগ্রাম। শনিবার সেনগুপ্ত দম্পতির ১৭তম বিবাহ-বার্ষিকী। সেনগুপ্ত মহাশয় চাপা স্বভাবের। তাই সেই খবর চেপে গিয়েছেন। প্রকাশ্যে এনেছেন তাঁর ঘরনি। নীলাঞ্জনার ইনস্টাগ্রাম এ দিন বিয়ের ছবির কোলাজে রঙিন। ১৭ বছর আগের ঝকঝকে মুহূর্তেরা ভিড় জমিয়েছে তাঁর চোখে। ধরা দিয়েছে তারকা দম্পতির অনুরাগীদের সামনেও।
কেমন ছিল সাতপাকে বাঁধা পড়ার সেই দিন? ছবি বলছে, মালা বদল, বিয়ের মন্ত্রোচ্চারণ, সঙ্গে হাল্কা খুনসুটি তাঁদের পারস্পরিক নির্ভরতার গল্পই শুনিয়েছে। সেই ছবি দিয়ে নীলাঞ্জনা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন যিশুকে। এক সঙ্গে হাতে হাত রেখে ১৭টি বছর কাটিয়ে দেওয়ার জন্য। পাশে জ্বলজ্বল করছে গাঢ় লাল রঙে আঁকা হৃদয়ের চিহ্ন। আনন্দবাজার অনলাইন শুভেচ্ছা জানাতে যোগাযোগ করেছিল নীলাঞ্জনার সঙ্গে। বিশেষ দিন কীভাবে কাটছে, জানতে। নীলাঞ্জনার উত্তর, ‘‘যিশু কাজে ব্যস্ত মুম্বইয়ে। আমি কলকাতায়। আলাদা উদযাপন কী করে সম্ভব!’’ ফোনে যিশু শুভেচ্ছা জানিয়েছেন স্ত্রীকে? কিংবা নীলাঞ্জনার মতো ইনস্টাগ্রাম বার্তায়? প্রযোজক নীলাঞ্জনা জানালেন, যিশু ভীষণ অন্তর্মুখী। তাই সোচ্চারে কিছুই বলেন না। বিবাহ-বার্ষিকীর সকালেও কথা হয়েছে প্রতি দিনের মতোই। এর বেশি কিছু নয়।
যিশু-নীলাঞ্জনা ১৭ বছর ধরে এক ছাদের নীচে একে অন্যের খারাপ-ভাল মুহূর্তের সাক্ষী। এই সময়ে দাঁড়িয়ে এই একাত্মতা কি নীলাঞ্জনার চোখে এক ধরনের সাফল্য? অভিনেত্রী-প্রযোজিকার দাবি, ‘‘যিশু কোনও দিন ওর মা-বাবাকে আলাদা হতে দেখেনি। আমিও না। আমাদের কাছে বিবাহিত জীবনের সংজ্ঞা এটাই। ভাল-মন্দ যা-ই আসুক, আমরা হাত ছাড়ব না। তাই এক সঙ্গে ১৭ বছর কাটানো সাফল্য নয়, আমাদের কাছে খুবই স্বাভাবিক ঘটনা।’’
তার পরেই তিনি স্বপ্নালু, আরও ১৭ বছর এ ভাবেই হয়তো হুশ করে উড়ে যাবে! টেরই পাবেন না...