অন্য রূপে ঊষসী।
এই প্রথম এমন সাজে ‘শ্রীময়ী’ ধারাবাহিকের জুন আন্টি!
ঊর্ধ্বাঙ্গ অনাবৃত। সাদা জামদানিতে লাস্যময়ী। কাঁধের উপরে ছড়িয়ে খোলা চুল। চওড়া কাজল-রেখায় মায়াবী দু’চোখ। নাকে পাথরের চিলতে নথ। আর কোনও সাজ, অলঙ্কার নেই ঊষসী চক্রবর্তীর! ছবির পাশে লেখা— ‘তার লাগি পথ চেয়ে আছি, পথে যে জন ভাসায় ...!’ তাতেই মন্তব্য বাক্সে তাঁর নাম বদলে দিয়েছেন অনুরাগীরা। ডেকেছেন ‘বিনোদিনী’ বলে।
আনন্দবাজার অনলাইনের থেকে সে কথা শুনেই ঊষসীর দাবি, ‘‘রবি ঠাকুরের ‘চোখের বালি’র বিনোদিনীর ভঙ্গিতেই আসলে বলতে চেয়েছি, আমি সকল নিয়ে বসে আছি সর্বনাশের আশায়!’’
দিন কয়েক আগেই ‘জুন আন্টি’র সর্বনাশের নমুনা ফেসবুকে দেখেছেন অনুরাগীরা। পর্দার স্বামী ‘অনিন্দ্য’ ওরফে সুদীপ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে রূপটান ঘরে চূড়ান্ত ঘনিষ্ঠ তিনি। রোম্যান্টিক হিন্দি গানের তালে নাচে মাতোয়ারা। এ বার কি আরও সর্বনাশ চান? অভিনেত্রীর পাল্টা রসিকতা— ‘‘ওটা পুরোটাই পর্দাসুলভ। পর্দায় যা সর্বনাশ হওয়ার, জুন আন্টির হয়ে গিয়েছে। বাস্তবের ঊষসী চাইছে, এ রকমই সর্বনাশ হোক তার! তারই পথ চেয়ে বসে আছি।’’
পরক্ষণেই সচেতন। জানালেন, তাঁর কার্যকলাপের দর্শক সংখ্যা ১০ লক্ষের পাশে। ভক্তদের বিনোদনের ভার তাঁরই হাতে। ‘জুন আন্টি’কে দেখতে দেখতে যদি একঘেয়েমি আসে! ভক্ত সংখ্যা কমে যায়? তা যে কিছুতেই সহ্য করতে পারবেন না। নিজেকে নিয়ে এমন সাহসী পরীক্ষায় সে কারণেই।
কিন্তু টেলিপাড়া যে বলছে অন্য কথা! পর্দায় জুন আন্টির নাচ দেখে মোহিত হয়েছিলেন রোহিত সেন। ঊষসীও আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছেন, টোটা রায়চৌধুরীর নতুন রূপে তিনি মুগ্ধ। এ দিকে রোহিত ওরফে টোটাকে ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে না প্রায় এক সপ্তাহের বেশি। অথচ শ্রীময়ী দিব্যি শাড়ি-গয়নায় সেজে মেয়ের বিয়ে দিচ্ছে! তার বদলে নাকি জুন ‘বিরহিনী’! তাই এই সাজ।
ঊষসীর ফের রসিকতা— ‘চোখের বালি’র ‘বিনোদিনী’ হতে তিনি রাজি। যদি টোটা ‘মহেন্দ্র’ হন!