যিশু সেনগুপ্ত।-
যিশু সেনগুপ্তের জীবনে তিন পরিচালক ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। দেবাংশু সেনগুপ্ত, ঋতুপর্ণ ঘোষ, সৃজিত মুখোপাধ্যায়। শনিবার আনন্দবাজার অনলাইনের ‘অ-জানা কথা’য় আমন্ত্রিত অতিথির দাবি, তিন জনে তাঁকে তিন ভাবে পূর্ণতা দিয়েছেন। তাঁদেরই অন্যতম সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবিতে তাঁর প্রথম অভিনয় ‘জাতিস্মর’-এ। পরে তিনি কাজ করেছেন পরিচালকের ‘এক যে ছিল রাজা’য়। ভাওয়াল সন্ন্যাসী মামলা এই ছবির পটভূমিকায়। তাতেই ‘রাজা’র ভূমিকায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। ছবিটি সৃজিতের ঝুলিতে জাতীয় পুরস্কারের সংখ্যা বাড়িয়েছে।
কিন্তু যিশু কী পেয়েছেন? বড় ক্যানভাসে চোখ ধাঁধানো অভিনয় করেও সেরার সম্মান হাতে আসেনি। মন খারাপ হয়নি?
অকপট যিশু। সাফ বলেছেন, ‘‘অবশ্যই মনখারাপ হয়েছিল। খুব শক্ত চরিত্র ছিল। তার থেকেও শক্ত ছিল হাড়কাঁপানো শীতে খালি গায়ে শ্যুট। জানুয়ারির বারাণসীর কনকনে গঙ্গা জলে ডুব দিতে হয়েছিল। আফশোস, তার পরেও আমার ঝুলি শূন্যই।’’ যিশু এ-ও জানিয়েছেন, তিনি খুবই আশা করেছিলেন, হয়তো ‘সেরা অভিনেতা’ হিসেবে তিনিই সম্মানিত হবেন। বাস্তবে তা হয়নি। আশাপূরণ না হওয়ায় মনঃক্ষুণ্ণও হয়েছিলেন। কিন্তু পর্দার ‘রাজা’র মতোই বোধহয় দিলদরিয়া বাস্তবের যিশুও। তাই খারাপ লাগা পুষে রাখেননি।
বিষয়টি নিয়ে এর পরেই তাঁর লাখ টাকার মন্তব্য, ‘‘আমি রাগ, দুঃখ, যন্ত্রণা মনে রাখি। পুষে রাখি না।’’