জিমি শেরগিল।
অ্যাকশনে তিনি এখন সাবধানী। শরীরকে গুরুত্ব দেন আগে। নতুন ছবি নিয়ে কথা বললেন জিমি শেরগিল।
প্র: কেরিয়ারের এই পর্যায়ে এসে ঠিক কী ভেবে ছবি নির্বাচন করেন?
উ: আমার কাছে গল্পই প্রাধান্য পায় সবচেয়ে আগে। গল্পটা ভাল হলে চরিত্রও ভাল হয়ে যায়। অভিনেতা হিসেবে আমাকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে, এমন চরিত্রের অপেক্ষায় থাকি। থ্রিলার আমার সবচেয়ে প্রিয় জ়ঁর। ডিজ়নি প্লাস হটস্টারের ‘কলার বম্ব’ও সেই জ়ঁরেরই ছবি। তাই প্রস্তাবটা আসতেই রাজি হয়ে গিয়েছিলাম।
প্র: ছবিতে আপনি ছাড়া বেশিরভাগ অভিনেতাই তুলনায় নবীন। কোনও বাড়তি চাপ ছিল তার জন্য?
উ: না, কোনও চাপ ছিল না। কারণ, যাঁরা এই ছবিতে কাজ করেছেন, প্রত্যেকেই খুব পরিশ্রমী। কাস্টিংয়ে কোনও সমঝোতা করা হয়নি। ছবিটার পিছনে প্রত্যেকেরই অবদান রয়েছে।
প্র: এই ছবিতে অনেক অ্যাকশন দৃশ্যে শুট করতে হয়েছে আপনাকে। কতটা সাবধান থাকতে হত?
উ: কয়েক বছর আগে পর্যন্তও চরিত্রের জন্য অনেক রকমের শারীরিক পরিবর্তন করেছি। তবে এখন আমার কাছে শরীরের গুরুত্ব আগে। তাই সাবধানে কাজ করেছি। তা ছাড়া এখন আমি নিজের অভিনয়ের পদ্ধতি অনেকটা পাল্টে ফেলেছি।
প্র: ওটিটি প্ল্যাটফর্ম অভিনেতা হিসেবে আপনার মধ্যে কতটা বদল এনেছে?
উ: একজন অভিনেতার কাছে এটা আশীর্বাদের মতো। তবে বড় পর্দা হোক বা ডিজিটাল মাধ্যম, আমার অভিনয়ের প্রক্রিয়াটা একই থাকে। অতিমারির আগে থেকেই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কাজ করা শুরু করেছিলাম আমি।
প্র: ছেলে বীরও কি তার বাবার মতোই অভিনেতা হতে চায়?
উ: ওকে কোনও রকম চাপ দিতে চাই না আমি। সময় এলে দেখা যাবে। এখন বেশিরভাগ সময়ে খেলাধুলো আর পড়াশোনা নিয়েই ব্যস্ত থাকে।
প্র: আপনার কাছে বাংলা ছবির প্রস্তাব এলে করবেন?
উ: অনেক বছর আগে অঞ্জন দত্ত, কে কে মেনন, নাসিরউদ্দিন শাহের সঙ্গে একটা বাংলা ছবির শুট করেছিলাম। কিন্তু ছবিটা শেষ পর্যন্ত মুক্তি পায়নি। ‘মোহব্বতেঁ’ ছবির প্রোমোশনের সময়ে কলকাতায় গিয়েছিলাম, একাধিক বার। খুব আন্তরিকতায় ভরা একটা শহর।