dev

Dev-jeet: এপ্রিলের শেষে দেব-জিৎ টক্কর, আগাম আশীর্বাদে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়

জনতার রায়ে দুই ছবিই সাফল্যের মুখ দেখবে, এমনই আশা দুই পক্ষেরই। কিন্তু এক সঙ্গে দুই অনুজকে আশীর্বাদ করতে গিয়ে ভাগাভাগি হয়ে গেল না তো ‘বুম্বাদা’র আশীর্বাদ? শুনেই হাসি রাহুলের। বলেছেন, ‘‘প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ইন্ডাস্ট্রির অভিভাবক। তিনি একসঙ্গে দেব-জিৎকে আশীর্বাদ করেছেন মানেই দুই তারকাই বাজি মারবেন। ফের জিতে যাবে বাংলা ছবি।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২২ ১০:৪৬
Share:

দেব, জিৎ, প্রসেনজিৎ

‘দুই পৃথিবী’ আবার একাকার। টলিউডের খবর, ২৯ এপ্রিল পরীক্ষায় নামছেন জিৎ মদনানি এবং দেব অধিকারী। দর্শকেরাও স্বাভাবিক ভাবেই হয়তো দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যাবেন। প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে দেব অধিকারী-রুক্মিণী মৈত্র অভিনীত ‘কিশমিশ’। একই দিনে জিৎ ফিরছেন ‘রাবণ’ অবতারে। দু’পাশে নবাগতা লহমা ভট্টাচার্য এবং তারকা তনুশ্রী চক্রবর্তী। খবর ছড়াতেই দুই অনুজ অভিনেতাকে আগাম আশীর্বাদ করেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। দু’জনকেই বেঁধেছেন স্নেহের আলিঙ্গনে। তাঁর ভঙ্গিতে যেন অনুচ্চারিত আশিস বাণী, ‘বিজয়ী ভবঃ’!

টক্কর বলুন বা সুস্থ প্রতিযোগিতা, কোনওটাই কি এড়ানো গেল না? আনন্দবাজার অনলাইন প্রশ্ন রেখেছিল ‘কিশমিশ’-এর পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায়ের কাছে। রাহুলের জবাব, ‘‘টক্কর, প্রতিযোগিতা কিচ্ছু নয়। দুই তারকা দুই ভিন্ন স্বাদের ছবি উপহার দিতে চলেছেন। ‘কিশমিশ’ মিষ্টি প্রেমের গল্প। ‘রাবণ’ রোমাঞ্চ-অ্যাকশনে ভরপুর। যে দর্শক যে ধরনের ছবি পছন্দ করবেন, সেটাই দেখবেন। আমি চাইব দুটো ছবি মোট ১০টি শো পাক। তার মধ্যে পাঁচটিতে হাউজ ফুল পাবে ‘কিশমিশ’। পাঁচটি পাবে ‘রাবণ’। বাংলা বিনোদনের বাণিজ্যের পালে এ ভাবেই হাওয়া লাগুক।’’

Advertisement

ঘড়ির কাঁটা রাত ১১টা ছুঁইছুঁই। তখনও জিৎ তাঁর ‘রাবণ’ অবতার থেকে বেরোতে পারেননি। তাই কথাও বলতে পারেননি। তবে বিষয়টি নিয়ে এর আগে আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন তনুশ্রী। তাঁর দাবি, ‘‘জিতের অনুরাগীরা তাঁর অ্যাকশন হিরো অবতারে আজও মজে রয়েছেন। তাঁরা এ ভাবেই তাঁদের প্রিয় নায়ককে দেখতে চান। ফলে, এক দিনে যত ছবিই মুক্তি পাক, দর্শকদের একটা বড় অংশ জিতের ছবিই দেখবে।’’ একই সঙ্গে তনুশ্রী সাফল্য কামনা করেছেন দেব-রুক্মিণী এবং টিম ‘কিশমিশ’-এর।

জনতার রায়ে দুই ছবিই সাফল্যের মুখ দেখবে, এমনই আশা দুই পক্ষেরই। কিন্তু এক সঙ্গে দুই অনুজকে আশীর্বাদ করতে গিয়ে ভাগাভাগি হয়ে গেল না তো ‘বুম্বাদা’র আশীর্বাদ? শুনেই হাসি রাহুলের। বলেছেন, ‘‘প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ইন্ডাস্ট্রির অভিভাবক। তিনি একসঙ্গে দেব-জিৎকে আশীর্বাদ করেছেন মানেই দুই তারকাই বাজি মারবেন। ফের জিতে যাবে বাংলা ছবি।’’ তার পরেই তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, কখনও দাদার আশীর্বাদ ভাগ হয়েছে?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement