জিতের সুরে আবার অমিতকুমার। সংগৃহীত চিত্র।
লম্বা বিরতি। কিন্তু ফিরলেন তাঁরা। মিঠুন চক্রবর্তী-জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়-অমিতকুমার। ২০০৬-এর ছবি ‘এমএলএ ফাটাকেস্ট’র পর। এ বার ত্রয়ীকে দেখা যাবে রাজ চক্রবর্তীর আগামী ছবিতে। প্রযোজনায় এসভিএফ। যার শুটিং ইতিমধ্যেই শুরু। ১৮ বছর পর এক হতেই উচ্ছ্বসিত জিৎ। একটি গান রেকর্ডের পর সেই খবর সুরকার ভাগ করে নিয়েছেন আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে। জানিয়েছেন, রাজের সঙ্গে এটি তাঁর পঞ্চম ছবিতে কাজ। প্রযোজক সংস্থাও তাঁর খুবই কাছের। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে যেন পুনর্মিলন ঘটছে। এ-ও জানিয়েছেন, আবারও মিঠুন চক্রবর্তীর ঠোঁটেই শোনা যাবে গায়কের গান। দেবী দুর্গার গান পটভূমিকায়। অমিতকুমারকে এই বিশেষ ধারার গান প্রথম গাইয়েছিলেন রাহুল দেব বর্মন। গায়কের দ্বিতীয় গানের সুরকার জিৎ।
জিৎ কথাই শুরু করেছেন অতীতচারণায়। তাঁর কথায়, ‘‘‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ ছবি থেকে আমি-রাজ-এসভিএফ একসঙ্গে। তালিকায় ‘চ্যালেঞ্জ’, ‘প্রেম আমার’, ‘দুই পৃথিবী’। আমি প্রচণ্ড উত্তেজিত। ছবিতে সম্ভব তিন থেকে চারটি গান থাকবে। আমিই সুরকার। শনিবার প্রথম গান রেকর্ড করলাম। মুম্বইয়ের রেকর্ডিং স্টুডিয়োতে। গান রেকর্ড করে অমিতজি দারুণ খুশি।’’ গানের কথা লিখেছেন প্রিয় চট্টোপাধ্যায়। অমিতকুমারকে এত বছর পরে ফেরানোর ভাবনা কার ছিল? সুরকার জানিয়েছেন, গান নিয়ে তিনি পরিচালক-প্রযোজকের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। তখনই অমিতকুমারের নাম ওঠে। বাকিরা এক কথায় রাজি হয়ে যান। কারণ, মিঠুনের লিপে দরাজ গলার প্রয়োজন। সেটা অমিতকুমার ছাড়া আর কেউ হতে পারেন না।
১৮ বছর পরে এক জোট। সংগৃহীত।
গায়কের কণ্ঠ কি আগের মতোই? জিৎ বলেছেন, ‘‘একদম আগের মতো রয়েছেন। সেই দরাজ কণ্ঠ। এখনও সা মানে সা-তেই সুর লাগান। রেকর্ডিংয়ে উপস্থিত ছিলেন এই প্রজন্মের অ্যারেঞ্জারেরা। তাঁরা মুগ্ধ ওঁর গায়কিতে।’’ এ-ও দাবি তাঁর, গানে দেবী বন্দনা থাকলেও সেটিতে যথেষ্ট ছন্দ রয়েছে। ফলে, তথাকথিত ভক্তিমূলক গাননি অমিতকুমার।