চঞ্চলের সবচেয়ে বড় অনুরাগী স্বস্তিকা? নিজস্ব চিত্র।
শনিবার একই সঙ্গে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের মনখারাপ আবার মন ভালও! কী ভাবে?
অভিনেত্রীর মনখারাপের কথা দুপুর থেকে ভাইরাল। সকালে উৎসাহী অভিনেত্রী পোস্ট দিয়ে সকলকে তাড়াতাড়ি ভোট দিতে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। দুপুরে বোন অজপা মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে ভোট দিতে গিয়ে আক্কেলগুড়ুম। তাঁর এবং তাঁর বোনের নাম ভোটার তালিকাতেই নেই! বুথ থেকে ফেরত চলে আসতে হয় তাঁদের।
তিতিবিরক্ত স্বস্তিকা বিকেলেই অন্য মেজাজে। আবারও একটি পোস্টে জানিয়েছেন, তাঁর মন ভাল হয়ে গিয়েছে। কারণ, ১ জুন তাঁর প্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর জন্মদিন। সমাজমাধ্যমে তিনি নিজেকে চঞ্চলের ‘সবচেয়ে বড় অনুরাগী’ বলেও দাবি করেছেন।
স্বস্তিকা এ দিন বাংলাদেশের ওয়েব প্ল্যাটফর্মের নতুন সিরিজ ‘কালপুরুষ’-এর একটি ছবি ভাগ করে নেন। এই সিরিজে চঞ্চল চৌধুরী মুখ্য ভূমিকায়। বিবরণীতে লেখেন, এই দিন তাঁর কাছে বিশেষ দিন। না, কলকাতায় যে সপ্তম দফার ভোট তার জন্য নয়, বা তাঁর নাম ভোটারতালিকা থেকে বাদ পড়েছে বলেও নয়। তাঁর লেখনীতে, ‘আমরা আজকাল বলি কনটেন্ট ইজ় কিং। ঠিক। কিন্তু সেই রাজার উপর তো মহারাজ আছেন, রাজাধিরাজ আছেন-সেই মহারাজের আজ জন্মদিন।’ অর্থাৎ, দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা নিজের প্রতিভায় স্বস্তিকার হৃদয়ে সবার উপরে। সেই কারণেই, নিজের কাজ নিয়ে যতই ব্যস্ত থাকুন, কখনও চঞ্চলের একটাও কাজ মিস্ করেন না।
দুই বাংলায় সমান জনপ্রিয় হওয়ায় চঞ্চলের কাজ এখন দুই দেশের দর্শকেরাই দেখেন। স্বস্তিকা তাঁদের থেকে আলাদা কোথায়?
সেই জবাবও বিবরণীতে দিয়েছেন তিনি। লিখেছেন, ‘ফার্স্ট ডে ফার্স্ট শো দেখার মধ্যে যে উত্তেজনা সেটা কি আর ছাড়া যায় ?
তাই স্ট্রিমিং শুরু হলেই আমি টিভির সামনে। রাত জাগতে হলেও দেখা না শেষ করে উঠি না।’ এমনিতেই শিল্পী এবং তাঁর কাজ কখনও সীমান্তের বেড়াজালে আটকে পড়ে না। চঞ্চলের ক্ষেত্রে অনায়াস গতিবিধি আরও সহজ হয়েছে দুই দেশের প্রযোজকদের কারণে। এমনটাই দাবি স্বস্তিকার। এর জন্য তিনি তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সঙ্গে একরাশ শুভেচ্ছা তাঁর প্রিয় অভিনেতাকে। চঞ্চলের প্রত্যেকটা দিন শুভ হোক, সাফল্যের ছটায় উজ্জ্বল হয়ে উঠুক, প্রার্থনা তাঁর। অভিনেতা প্রত্যেক চরিত্রে নিখুঁত ভাবে জীবন্ত হয়ে ওঠেন। দর্শকদের মতো অভিনেতাকে ঘিরে মুগ্ধতা তাই অভিনেত্রীর মধ্যেও প্রবল। আর এই জায়গা থেকেই তাঁর দাবি, ‘আমার প্রিয় শিল্পী, জেনো আমি তোমার সবচেয়ে বড় অনুরাগী।’