জাহ্নবীকে আগলে রাখেন অর্জুন।
সৎ ভাইবোন মানেই ভরপুর শত্রুতা। বড় বা ছোট পর্দার গল্পে সাধারণত এমনটাই দেখতে অভ্যস্ত দর্শক। সে ধারণাটাকেই বাস্তবে রোজ চুরমার করে ভাঙছেন বলিউডেরই দুই তারকা। অর্জুন কপূর এবং জাহ্নবী কপূর। বনি কপূরের দুই পক্ষের দুই ছেলে-মেয়ে। মা শ্রীদেবীকে হারানোর পরে কঠিন সময়টায় তাঁকে ভরসার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন অর্জুনই। ফের সে কথা অকপটে বললেন ‘গুঞ্জন সাক্সেনা’।
‘কফি উইথ কর্ণ’-এর নতুন সিজনে অতিথি হয়ে গিয়েছিলেন জাহ্নবী। সেখানেই কথায় কথায় ফিরে এসেছে অর্জুনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কাহিনি। এবং আগের একাধিক বারের মতো এ বারেও সৎদাদাকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন শ্রীদেবী-কন্যা।
জাহ্নবী বলেন, ‘‘মাকে আচমকা হারিয়ে বিধ্বস্ত, দিশাহারা হয়ে পড়েছিলাম। সে সময়টায় অর্জুন ভাইয়া এগিয়ে আসে আমার আর খুশির পাশে। ও-ই আমাদের আগলে রেখেছিল দু’হাত দিয়ে। ভরসা দিয়েছিল। পাশে ছিল অংশুলা দিদিও। কঠিন দিনগুলো সামলে আজ যে আবার ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছি, তা ওদের জন্যই। এখন আমি একেবারে অন্য মানুষ, যার মনের জোর অনেক বেশি।’’
পরিচালক বনি কপূরের প্রথম স্ত্রী মোনা কপূরের সন্তান অর্জুন এবং অংশুলা। দ্বিতীয় স্ত্রী শ্রীদেবীর সঙ্গে তাঁর দুই মেয়ে জাহ্নবী এবং খুশি। মা-বাবার বিচ্ছেদ কোনও দিনই মেনে নিতে পারেননি অর্জুন। ফলে জাহ্নবী বা খুশির সঙ্গে তাঁর সম্পর্কে শীতলতাই ছিল বরাবরের সমীকরণ।
সবটা পাল্টে দিল শ্রীদেবীর মৃত্যু। ২০১৮-র ফেব্রুয়ারিতে দুবাইয়ে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে আকস্মিক ভাবে মারা যান অভিনেত্রী। মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত জাহ্নবীকে কিছুতেই আর এড়িয়ে থাকতে পারেননি অর্জুন। নিজের দাদার মতোই স্নেহে-নির্ভরতায় আগলে রাখেন দুই বোনকে। জাহ্নবী-খুশির সব কিছুতেই এখন অর্জুনকে চাই-ই চাই!