(বাঁ দিকে) শ্রীদেবী (ডান দিকে) জাহ্নবী কপূর। ছবি: সংগৃহীত।
শ্রীদেবী ও বনি কপূরের মেয়ে বলে কথা! পারিবারিক কৌলিন্য কি কম! এমন এক পরিবারের মেয়ে হয়েও ‘নীল ছবির সাইটে’ ফাঁস হয়ে যায় জাহ্নবীর কপূরের ছবি। সেই সময় বয়স ছিস মাত্র ১২। দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি কিশোরী জাহ্নবী। হয়তো বা তারকা-কন্যা হওয়ার খেসারতই দিতে হয় তখন জাহ্নবীকে।
শ্রীদেবী-কন্যা তিনি। ছোটবেলা থেকেই ক্যামেরার সামনে বেড়ে ওঠা। সারা ক্ষণই আলোকচিত্রীদের ক্যামেরার সামনে থাকতেন। এত বড় কিংবদন্তি অভিনেত্রীর মেয়ে হওয়ার সুবাদে বিশেষ কিছু করার আগেই চলে আসেন প্রচারের আলোয়। তখন প্রতি দিনই ছবি উঠছে তাঁর।
মাত্র ১২ বছর বয়সে ওঠা তাঁর একটি ছবি ফাঁস করে দেওয়া হয় জনপ্রিয় একটি প্রাপ্তবয়স্কদের ছবির সাইটে। যদিও ছবিটি জাহ্নবীর হলেও তাতে কারসাজি করা হয়েছিল বলেই জানান অভিনেত্রী। শুধু কি তাই?
কিশোরী জাহ্নবীর ছবিতে কারসাজির জন্য স্কুলেও হেনস্থা হতে হয়েছে তাঁকে। সে সময় তাঁকে কিংবা তাঁর বোন খুশি কপূরকে দেখলেই নাকি ছুটে আসতেন ছবিশিকারিরা। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘ আমি তখন চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ি। স্কুলে কম্পিউটার ক্লাসে ঢোকা মাত্রই স্ক্রিনে আমার ছবি নিয়ে হাসাহাসি করতে শুরু করে সহপাঠীরা। শরীরে কেন এত লোম, তা নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা চলে। তখন থেকে আমাকে যেন অন্য নজরে দেখা শুরু করে সকলে। লোকে এই ‘মর্ফ’ (এক ধরনের অ্যানিমেশন) করা ছবিগুলিকে সত্যি ভাবত। সেটা আমার কাছে যেন আরও চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।’’
জাহ্নবী জানিয়েছেন, একটা সময় অবধি শরীরের গঠন নিয়ে অস্বস্তি ছিল তাঁর। তবে ধীরে ধীরে সে অস্বস্তি কাটিয়ে ওঠেন তিনি। ক্রমে নিজেকে লাস্যময়ী নায়িকা হিসাবে গড়ে তুলেছেন শ্রীদেবী-কন্যা। এখন যেন তিনি অনেক বেশি সাহসী এবং আত্মবিশ্বাসী।