ক্যামেরার সামনেই ঘুরে নিলেন এক পাক। আর ব্যস! বদলে গেলেন রাতপোশাকে। ফাইল চিত্র
বুক থেকে পা পর্যন্ত কালো আঁটসাঁট গাউনে চোখ ঝলসানো জাহ্নবী কপূর। পায়ে হিলতোলা কালো জুতো। দিনের কাজ শেষে এই পোশাকে ঘরে ঢুকলেন যখন, ক্লান্তিতে মন চলে যায় বিছানায়। তাই আর দেরি না করে পোশাক বদলে নিলেন দ্রুত। মানে চোখের পলকে। ক্যামেরার সামনেই ঘুরে নিলেন এক পাক। আর ব্যস! বদলে গেলেন রাতপোশাকে। হলদে-গোলাপি ঢেউয়ের নকশা কাটা পাজামায় তিনি বিছানায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। তবে গায়ে জড়িয়ে নিয়েছেন শাল। শীত তো পড়েছে, একটু ওম না হলে হয়!
ম্যাজিকের মতো পোশাক বদলের ভিডিয়ো অবশ্য সম্পাদনার কারসাজি। তা-ও, অনুরাগীরা নিখাদ মজা পেলেন। জাহ্নবী ভাগ করে নিলেন তাঁর রাতের রোজনামচা। শাল জড়ালেও ঘুমোনোর আগের অভ্যাস ছাড়েননি তিনি এই শীতেও। লিখলেন, “সব থেকে ভাল ব্যাপার কী জানেন? গায়ে শাল জড়িয়ে বিছানায় গেলেও একটা আইসক্রিম আমি খাবই।”
সেই ভিডিয়োর নীচে ভালবাসার প্রতিক্রিয়ায় বন্যা বইয়ে দিলেন অনুরাগীরা। ছোট থেকে বড় বিভিন্ন বয়সি মানুষ লিখলেন, “আহা, মুখখানা ঠিক শ্রীদেবীর মতো লাগছে!”
তবে আর এক দল রসিক আবার বলে বসলেন, “এত তাড়াতাড়ি পোশাক বদলে ফেলেন আপনি?” আবার কেউ কেউ তাঁর তড়িৎগতিতে কালো পোশাক বদলে ফেলার ধরনে সুপারলেডিদের সঙ্গে মিল খুঁজে পেলেন। এক জন বললেন, “নিঞ্জা জাহ্নবী।”
মলদ্বীপ সফর সেরে সদ্য ফিরেছেন অভিনেত্রী। রংবেরঙের বিকিনিতে একগুচ্ছ ছবি ভাগ করে নিয়েছেন সপ্তাহ জুড়ে। তার পর এসেই যোগ দিলেন কাজে। ‘মিলি’ মুক্তির পর আবার নতুন কাজের শুটিং শুরু হয়ে গিয়েছে তাঁর। হাতে ৬টিরও বেশি ছবির চুক্তি। নতুন বছরে মুক্তি পাচ্ছে জাহ্নবী অভিনীত ‘বাওয়াল’ এবং ‘বড়ে মিঞা ছোটে মিঞা’।