Janhvi Kapoor

রাতে ঘুম থেকে উঠে মা-বাবার ঘরে ঢুকতেন জাহ্নবী, নেপথ্যে কী কারণ? জানালেন অভিনেত্রী

মাকে হারিয়ে ফেলেছেন জাহ্নবী প্রায় ছয় বছর হল। একটা সময় ছিল প্রতি দিন রাতে ঘুম থেকে উঠে মায়ের নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের শব্দ শুনতেন জাহ্নবী, কিন্তু কেন?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২৪ ১৯:৫৪
Share:

(বাঁ দিকে) জাহ্নবী কপূর। শ্রীদেবী (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

জাহ্নবী কপূরের কথায় প্রায়শই শ্রীদেবীর প্রসঙ্গ উঠে আসে। মায়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের সমীকরণ বরাবরই দর্শকের কাছে প্রশংসা কুড়িয়েছে। তবে মাকে নিয়ে বরাবরই স্পর্শকাতর অভিনেত্রী। একটা সময় মায়ের ছায়াসঙ্গী হয়ে থাকতেন। এখন অনেকটা বড়, সব কিছুই একা একা করতে হয়। আদর করে শ্রীদেবী তাঁকে ডাকতেন ‘লাডো’। মাকে হারিয়ে ফেলেছেন জাহ্নবী প্রায় ছয় বছর হল। একটা সময় ছিল প্রতি দিন রাতে ঘুম থেকে উঠে মায়ের নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের শব্দ শুনতেন জাহ্নবী, কিন্তু কেন?

Advertisement

২০১৮ সালে শ্রীদেবীর প্রয়াণের পাঁচ মাস পর মুক্তি পায় জাহ্নবীর প্রথম ছবি ‘ধড়ক’। সেই সময় সংবাদমাধ্যমের তরফে অভিনেত্রীকে শ্রীদেবী সম্পর্কিত কোনও প্রশ্ন করাও নিষেধ ছিল। সেই সময় মেয়ের পাশে দাঁড়ান বনি কপূর। নতুন এই জগতের অলিগলি শেখান বাবা বনি কপূর। তবে এখন অনেকটা শক্ত জাহ্নবী। এখন মাকে নিয়ে কথা বলতে অনেকটা স্বচ্ছন্দ তিনি। একটা সময় ছিল যে মাকে এক মুহূর্তের জন্য কাছছাড়া করতেন না জাহ্নবী। অভিনেত্রী সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘প্রতি দিন রাতে উঠে দেখতাম মা-বাবা শ্বাস নিচ্ছে কি না। আমার সারা ক্ষণ মনে হত যদি ওঁরা ছেড়ে যায় আমাকে। এমনকি বাবা-মা ঘুরতে গেলেও আমার ভয় হত। মনে হত ওঁরা যদি ফিরে না আসে।’’

যদিও শ্রীদেবীর মৃত্যুর পর জাহ্নবী বলেন, ‘‘আসলে জীবনে অনেক কিছুই সহজে পেয়ে গিয়েছি, তাই হয়তো আমার মনে হত, কিছু না কিছু খারাপ জিনিস হবেই আমার সঙ্গে। মায়ের মৃত্যুর পর মনে হয়েছিল, এই বীভৎস ঘটনা আমার কপালে লেখা ছিল, এমন হওয়ারই ছিল। তাই তখন আমি শোকের সঙ্গে মানিয়ে নিতে নিজেকে বুঝিয়েছিলাম, এই তো যা খারাপ হওয়ার হয়ে গেল। সেই ভাবনাটা এক ধরনের স্বস্তিদায়ক অনুভূতি ছিল।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement