জ্যাকলিন ও সুকেশ। ফাইল চিত্র।
বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের ‘স্বপ্নের পুরুষ’ ছিলেন সুকেশ চন্দ্রশেখর! ২০০ কোটি টাকার তছরুপ মামলায় তদন্তে নেমে এমন কথাই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, ‘কনম্যান’ সুকেশকে বিয়েও করতে চেয়েছিলেন বি-টাউনের এই মোহময়ী নায়িকা।
আর্থিক তছরুপ মামলায় ইতিমধ্যেই তদন্তকারীদের মুখোমুখি হয়েছেন জ্যাকলিন। গত বুধবার দিল্লি পুলিশের আর্থিক দমন শাখায় তদন্তরকারীদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন বলি তারকা। প্রায় আট ঘণ্টা ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
দিল্লি পুলিশের আর্থিক দমন শাখার স্পেশাল কমিশনার রবীন্দ্র যাদব সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানিয়েছেন যে, প্রচুর ধনদৌলত থাকায় বলিউডের অভিনেত্রীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করতেন সুকেশ। এই ফাঁদে জড়িয়ে পড়েন জ্যাকলিনও। সুকেশের কথায় নায়িকা এতটাই প্রভাবিত হন যে, তাঁকে বিশ্বাসও করতে শুরু করেন। সেই সূত্রেই সুকেশকে ‘কাছের মানুষ’ ভাবেন জ্যাকলিন। তাঁকে বিয়ে করার কথাও ভাবেন।
রবীন্দ্রের কথায়, ‘‘জ্যাকলিন আরও বিপাকে পড়েছেন। কারণ, সুকেশের অপরাধের কথা জেনেও তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেননি।’’ এই জায়গায় বেঁচে গিয়েছেন বলিপাড়ার আর এক অভিনেত্রী নোরা ফতেহি। রহস্যের গন্ধ পাওয়া মাত্রই সুকেশের সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করেন অভিনেত্রী। সুকেশের সঙ্গে নোরার কখনও সামনাসামনি দেখাও হয়নি বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, হোয়াটসঅ্যাপে দু’বার চন্দ্রশেখরে সঙ্গে কথা হয়েছিল নোরার। সম্প্রতি, নোরাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে দিল্লি পুলিশের আর্থিক দমন শাখা।
জ্যাকলিনের সঙ্গে তাঁর যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল, তা আগে জানিয়েছিলেন সুকেশের আইনজীবী। পরে সুকেশও এই কথা জনিয়েছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, প্রেমজীবনের সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের কোনও সম্পর্ক নেই।