মূখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন সিদ্ধার্থ মলহোত্র ও পরিণীতি চোপড়া।
জবরিয়া জোড়ি
পরিচালনা: প্রশান্ত সিংহ
অভিনয়: সিদ্ধার্থ, পরিণীতি, অপারশক্তি, চন্দন, জাভেদ, সঞ্জয়
৪/১০
সিদ্ধার্থ মলহোত্র ও পরিণীতি চোপড়ার জুটিকে প্রথম দেখা গিয়েছিল ‘হসি তো ফসি’ ছবিতে। মিষ্টি প্রেমের গল্পে তাঁরা দিব্যি মানিয়ে গিয়েছিলেন। তবে প্রশান্ত সিংহের ‘জবরিয়া জোড়ি’তে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিহারি কায়দায় কথা বললেও, তাঁদের এক বারও বিহারি মনে হয়নি। সওয়া দু’ঘণ্টার ছবিতে সংলাপের মধ্য দিয়ে হাসানোর চেষ্টা রয়েছে। কয়েকটি ছাড়া বাকিগুলোয় তির ফস্কেছে।
বিহারের ‘বাহুবলী’ অভয় সিংহ (সিদ্ধার্থ) বাবার (জাভেদ জাফরি) দেখানো পথে পণ-চাওয়া পাত্রদের কিডন্যাপ করে জবরদস্তি বিয়ে দেয়। এই প্রথা ‘জবরিয়া শাদি’ নামে খ্যাত। অভয়ের ছোটবেলার প্রেম ডাকাবুকো বাবলি যাদব (পরিণীতি)। অভয় বিয়ে করতে চায় না। নায়কের কায়দায় জবরিয়া শাদির ফন্দি আঁটে বাবলি। এমন গল্পের শেষ দর্শকের জানা, যতই তা আরোপিত মনে হোক।
শেষ দৃশ্যে অভয়ের ডাকসাইটে বাবার মন বদলে যায়। কেন? বোঝা যায় না। ভাড়াটে গুন্ডা এনে মার খেয়ে ফিরে যায় আর এক বাহুবলী, যে চরিত্রে অনেক দিন পরে দেখা গেল শরদ কপূরকে। সঞ্জীব কে ঝা-এর লেখায় গল্পকে বেঁধে রাখার মতো উপাদান ছিল না। ছবিতে প্রেম নেই, প্রেম-প্রেম ভাব রয়েছে। তবে ছবিটি না হয়েছে লাভ স্টোরি, না সোশ্যাল স্যাটায়ার, না কমেডি।
ছবির প্রাণ তার মুখ্য চরিত্রও নয়। সঞ্জয় মিশ্র, চন্দন রায় সান্যাল আর অপারশক্তি খুরানার ঝকঝকে অভিনয়ে স্পষ্ট, কেন তাঁরা পাশে থেকেও সামনে আসার ক্ষমতা রাখেন। ছবিতে অভয়ের মুখে সংলাপ ছিল, ‘‘বিহারের অনেক মানুষ জানেই না, তারা কেন কী করে...’’ সেই সুরেই বলা যায়, সিদ্ধার্থ ও পরিণীতি কেন এই ছবি করেছেন, তা কি আদৌ তাঁরা জানেন?