মা কী ছিলেন, কী হইয়াছেন! আদি যুগে কাঁচুলি, মুক্তা হারে শোভিতা। সেই দেবী নীল টপ আর প্যারালাল জিন্সে আধুনিকা! দুই রূপেই তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।
টলি পাড়ার প্রথম সারির নায়িকা ইশা সাহা। আনন্দবাজার অনলাইনের জন্য বসন্ত পঞ্চমীর জন্য দুই সাজে হাজির তিনি। বসন্ত পঞ্চমী আজও বহু ষোড়শীর প্রথম শাড়ি ভাঙার রোমাঞ্চ। প্রথম প্রেমে পড়ারও। আভিজাত্য আর আধুনিকতার মিলমিশ চাইলে সাজ কেমন হতে পারে? হদিশ দিলেন ইশা। চুলের কিছুটা নিয়ে তুলে বান। বাকিটা ছড়ানো ঘাড়ের কাছে। সঙ্গে মানানসই রূপোর গয়না। বেছে নিয়েছেন সাদা শাড়ি।
বাড়িতে তত ক্ষণে পুজোর তোড়জোড়। সুন্দরী ইশা সাজ সেরে দরজা খুলতেই মঙ্গল ঘটে কলা গাছের উঁকি। কন্যের কানে বড় ঝুমকো, আঙুল জোড়া আংটি। চোখে লাইনার, শ্যাডো। ঠোঁটে প্যাস্টেল শেডের লিপস্টিক। যা দেখে ঘোর লাগে চোখে!
সরস্বতী পুজো মানেই এখনও ঘুম চোখে বিছানা ছাড়া। এই প্রজন্ম যদি শাড়ি না-ই পরে! ইশাকে বদলে দিলেন বুকুন গোস্বামী এবং মোনালিসা। বাগ্দেবী হয়ে গেলেন আধুনিকা।
যুগের চাহিদা মেনে জিন্স, টপ পরেন। হলুদ গোলাপে সাজানো খোঁপায় বসন্ত পঞ্চমীর রেশ। মাথা থেকে আঙুলে রুপোর গয়না। সেই আঙুল ছুঁয়েছে তানপুরার তার।
কখনও প্রাচ্য কখনও পাশ্চাত্য, ইশার সাজের ঝোঁক যেন এই প্রজন্মের সরস্বতীকে মনে করায়। নায়িকা নিজেও বলেছেন, ‘‘কেন নয়! দারুণ ভাবনা। পরে আরাম ঝঞ্ঝাট কম। আধুনিক সরস্বতী এ রকমই হওয়া উচিত।’’
হতে পারবেন ইশার মতো এত সাহসী? সন্ধে না হয় নীলে জমজমাট হয়ে উঠুক। সাদা আর হলুদ থাক ইঙ্গিতে।
রূপসজ্জা- অভিজিৎ চন্দ, শাড়ি- বিশ্ব বাংলা, গহনা- আর্দামেন্টস, স্থান- কর্ম কেটল, স্টাইলিং- মোনালিসা মান্না ও বুকুন, ছবি- দেবর্ষি সরকার, পরিকল্পনা- স্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়।