প্রেমিক স্বর্ণেন্দুর সঙ্গে শ্রুতি
চলতি বছরেই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা এসে সমস্ত পরিকল্পনা ওলটপালট করে দিয়েছে। তাই এখন কেবল অপেক্ষা। কিন্তু তর না সয়ে কি তবে বিয়ের পিঁড়িতে বসেই পড়লেন ‘দেশের মাটি’-র ‘নোয়া’ ওরফে শ্রুতি দাস? বরবেশে হাজির হবেন ধারাবাহিকের পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার?
শ্রুতির সাম্প্রতিকতম ছবি তো তেমনই আভাস দিচ্ছে। বাঁ হাতে মেহেন্দি এঁকেছেন শ্রুতি। এঁকেছেন বললে ভুল বলা হবে, লিখেছেন। মেহেন্দিতে নকশা প্রাধান্য পায়নি। পেয়েছে বাংলা হরফে লেখা রবীন্দ্রগান, ‘আমি তোমার প্রেমে হব সবার কলঙ্কভাগী।’ ছবি দিয়ে শ্রুতি লিখেছেন, ‘স্বর্ণেন্দু, নিজের নাম খুঁজে নিও।’
তবে কি খুব তাড়াতাড়িই গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন শ্রুতি? স্বর্ণেন্দুকে বহু আগে থেকেই ‘বর’ বলে ডাকেন। বিয়ের পরিকল্পনা চলছে এক বছর ধরে। করোনার জন্য তাতে দফায় দফায় বাধা। এ বার কি তা হলে সেই সম্পর্কই আইনের খাতায় জায়গা পাবে?
আনন্দবাজার অনলাইনকে শ্রুতি বললেন, ‘‘বিয়ে হওয়ার কথা ছিল এ বছর। সে কথা ঠিক। কিন্তু সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার পরে এখনই বিয়ে করছি না। এক’দু বছর পরে বিয়ে করতে পারি।’’
শ্রুতির হাতে স্বর্ণেন্দুর নাম
কিন্তু মেহেন্দি? আর তাতে যে হবু বরের নাম? শ্রুতির কথায়, ‘‘সুচন্দা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে এক মেহেন্দি শিল্পীর আঁকায় মুগ্ধ আমি। নকশা নয়, তিনি জোর দেন লেখায়। তা দেখেই শখ জেগেছিল। সুচন্দাদির থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজের হাতেও তেমন এঁকেছি। স্বর্ণেন্দুর নাম দিয়ে আরও সুন্দর করে সাজিয়েছি। অদূর ভবিষ্যতে কোনও অনুষ্ঠান নেই কিন্তু। এমনিই শখ মেটালাম।’’
স্বর্ণেন্দু কি নিজের নাম খুঁজে পেয়েছেন তাঁর প্রেমিকার হাতে? শ্রুতি জানালেন, ছবি পাঠানোর দু’মিনিটের মধ্যেই পরিচালকের চোখ আটকেছে নিজের নামে। সঙ্গে সঙ্গে নিজের নামের উপর গোল চিহ্ন বসিয়ে শ্রুতিকে পাঠিয়ে দিয়েছেন স্বর্ণেন্দু। হাসি ফুটেছে প্রেমিকার মুখে।