সলমন-ঐশ্বর্যার ভাইরাল ভিডিয়োর সত্যটা কী? ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডে পার্টিতে কত কিছুই না হয়! কখনও নতুন সম্পর্কের শুরু। কখনও আবার পুরনো সম্পর্কে ক্ষত সেরে ওঠে। সম্প্রতি পোশাকশিল্পী মণীশ মলহোত্রের বাড়ির দীপাবলির পার্টি বসেছিল চাঁদের হাট। সেখানেই বহু বছর পর এক ছাদের তলায় ধরা দিলেন সলমন খান ও ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। দীপাবলির অনুষ্ঠানের রাতেই নাকি পুরনো তিক্ততা ভুলে একসঙ্গে সময় কাটালেন তাঁরা। প্রাক্তন প্রেমিক সলমনের সঙ্গে আলিঙ্গনরত অবস্থায় দেখা গেল প্রাক্তন বিশ্বসু্ন্দরীকে! সম্প্রতি তেমনই একটি ছবি ঘিরে জল্পনা নেটপাড়ায়। সত্যিই কি ঐশ্বর্যাকে জড়িয়ে ধরলেন সলমন?
মণীশের দীপাবলির পার্টিতে তাঁর বাড়িতে বসেছিল চাঁদের হাট। বলিপাড়ার তারকা থেকে অম্বানীরা— সকলেই এসেছিলেন সেই পার্টিতে। লাল ও গোলাপি রঙের পোশাক পরে লাল গালিচায় উপস্থিত হয়েছিলেন ঐশ্বর্যা। তবে সেখানে বচ্চন পরিবারের অন্য কোনও সদস্যকে দেখতে পাওয়া যায়নি। এমনিতেই জল্পনা, শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে ঐশ্বর্যার, স্বামী অভিষেককেও দেখা যাচ্ছে না তাঁর সঙ্গে বেশ কিছু দিন ধরেই। এ দিন অবশ্য মেয়ে আরাধ্যাও ছিল না তাঁর সঙ্গে। অন্য দিকে, সলমন এ বারও একাই এসেছিলেন মণীশের বাড়িতে। সেখানেই দেখা যায় লাল চুড়িদার পরা এক মহিলার সঙ্গে আলিঙ্গনরত সলমন। যদিও তাঁর মুখ স্পষ্ট ছিল না সেই সময়। ফলে অনেকেই ধরে নেন, সেই মহিলা আর কেউ নন, প্রাক্তন প্রেমিকা ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন! যদিও এটা একেবারেই মিথ্যা। যাঁর সঙ্গে আলিঙ্গনরত অবস্থায় দেখা গিয়েছে সলমনকে, সেই মহিলা সুরজ পাঞ্চোলির বোন সানা পাঞ্চোলি। তবে এই প্রথম নয়, আগেই বলিউডের বিভিন্ন পার্টিতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। কিন্তু একে অপরকে এড়িয়ে চলেন তাঁরা। এ বারও তার অন্যথা হয়নি।
‘হম দিল দে চুকে সনম’ ছবিতে কাজ করার সময় সম্পর্ক তৈরি হয় সলমন ও ঐশ্বর্যার মধ্যে। শোনা যায়, সম্পর্কে থাকাকালীন নাকি ঐশ্বর্যাকে মানসিক ও শারীরিক ভাবে হেনস্থা করেছিলেন সলমন। সেই ঘটনা সে সময় নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা বিনোদন জগৎকে। ২০০৪ সালে সেই সম্পর্কে ইতি টানেন ঐশ্বর্যা। ২০০৭ সালে অভিষেকের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন ঐশ্বর্যা। তাঁদের বিয়ের বয়স প্রায় ১৫ পার করেছে। অন্য দিকে, এখনও ‘সিঙ্গল’ সলমন।