নিরাপত্তার চাদরে মুড়ছে আইনক্স। নিজস্ব চিত্র।
আগামিকাল খুলছে সিনেমা হল। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ছে আইনক্স। যাতে ১৫ অক্টোবর থেকে প্রেক্ষাগৃহে নিশ্চিন্তে পা রাখতে পারেন দর্শক। কেমন সেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা? তারই আগাম প্রদর্শন হল বারাসত স্টার মলের আইনক্সে। সংস্থার রিজিওনাল ম্যানেজার (পূর্বাঞ্চল) অমিতাভ গুহ ঠাকুরতার উপস্থিতিতে।
শুরুতেই অমিতাভ জানিয়ে দিলেন আনন্দবাজার ডিজিটালকে, ‘‘সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী, ৫০ শতাংশ দর্শক ঢুকতে পারবেন প্রতিটি শো-এ। অর্থাৎ, ২০০ জনের আসন থাকলেও বসানো হবে ১০০ জনকে। একটি টিকিটও বেশি বিক্রি করতে পারবেন না হল মালিক। পাশাপাশি আমাদের সফটওয়্যারে এমন করেই প্রোগ্রামিং করে রেখেছি যাতে অটোমেটিক্যালি একটি আসন বাদ দিয়ে সিট বুকড হবে।’’
দীর্ঘদিন পরে বিনোদন ফের দর্শক মুঠোয়। প্যান্ডেলের বদলে হলে কতটা নিরাপদ তাঁরা? ‘‘সরকারি নির্দেশিকার সঙ্গে আইনক্স নিজস্ব বাড়তি কিছু সতর্কতা যোগ করছে। দর্শক যাতে নিশ্চিন্তে এন্টারটেইনড হতে পারেন। বক্স অফিস থেকে আইনক্সের ভিতর পর্যন্ত পেপারলেস এবং কনট্যাক্টলেস পরিষেবা দিচ্ছি আমরা।’’ জানালেন তিনি।
আরও পড়ুন: অন্যের কথা আগে ভাল করে শুনি: পঙ্কজ ত্রিপাঠী
কারও টেম্পারেচার বেশি থাকলে, সর্দি-কাশি বা দুর্বলতা থাকলে তিনি ভিতরে যাওয়ার অনুমতি পাবেন না। নিজস্ব চিত্র।
যেমন, মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে মিলবে ই-টিকিট। একটি এসএমএস-এর মাধ্যমে দর্শক চারটি লিঙ্ক পাবেন। এতে থাকবে কি ওয়ার্ড বোর্ড বা এন্ট্রি পাস, ফুড বেভারেজ, সিট নম্বর এবং টিকিটের কপি। এর পর থার্মাল চেকিং, সিকিওরিটি চেকিং, স্যানিটাইজারে হাত জীবাণুমুক্ত হওয়া পেরিয়ে ভিতরে যাওয়ার অনুমতি মিলবে। কারও টেম্পারেচার বেশি থাকলে, সর্দি-কাশি বা দুর্বলতা থাকলে তিনি ভিতরে যাওয়ার অনুমতি পাবেন না।
এখানেই শেষ নয়, খাবারেও থাকছে বিশেষ বদল। যেমন, নানা স্বাদের গ্রিন টি, হলুদ, রোগ প্রতিরোধক সবজি সমৃদ্ধ খাবার পরিবেশন করা হবে। সমস্ত খাবারই নিরামিষ। প্যাকেটে মুড়ে রাখা হবে। ক্যাফেটেরিয়ার কর্মীদের হাতে থাকবে গ্লাভস। তাঁরা টিমটে দিয়ে খাবার তুলে দেবেন ট্রে-তে। স্পর্শজনিত সংক্রমণ ঠেকাতে। এখানেও মানা হবে সামাজিক দূরত্ব।
একই সঙ্গে আশার কথা শোনালেন, এত কিছুর পরেও টিকিট বা খাবারের দাম বাড়বে না একটুও। অমিতাভের মতে, দর্শক যখনই বুঝবেন তাঁরা বাইরের থেকে ভিতরে বেশি নিরাপদ তখনই আস্তে আস্তে ভরে উঠবে প্রেক্ষাগৃহ।