বলিউডে আগে দেশপ্রেম, ভারতের উপরে আতঙ্কবাদীদের হামলা নিয়ে অজস্র ছবি হয়েছে। ‘উরি: দ্য সার্জিকাল স্ট্রাইক’ এর অন্যতম নিদর্শন। এ বার বাংলায় এই ধরনের ছবি তৈরি হতে চলেছে।
শতাফ ফিগার এবং ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। —ফাইল চিত্র।
ব্রিটিশ শাসকদের শাসন থেকে ভারত মুক্ত। কিন্তু সন্ত্রাসবাদীদের হাত থেকে নয়। এখনও সুযোগ পেলেই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে দেশের আভ্যন্তরীণ এবং বাইরের আতঙ্কবাদীরা। লাগাতার পড়শি দেশ পাকিস্তানের হামলা তো আছেই। পাক হামলাকারীর নাম আনোয়ার আহমেদ জায়েদ। আনোয়ার তেমনই এক স্লিপার সেলের আত্মঘাতী বাহিনীর একজন যে কলকাতার পাঁচটি ভিন্ন জায়গায় ধারাবাহিক ভাবে বোমা হামলার মাধ্যমে সন্ত্রাস চালানোর চেষ্টা করেছিল। আনোয়ারের লক্ষ্য, শপিং মল, রেস্তরাঁ, একটি মন্দির বা মসজিদ এবং একটি পুলিশ সদর দফতর। এই জায়গাগুলোতেই সে নাশকতার ছক কষেছিল।
কিন্তু প্রাণঘাতী হামলা চালানোর আগেই সেই খবর চলে আসে গোয়েন্দা দফতরের প্রধান বিক্রম দ্বিবেদীর কাছে। তাঁর নেতৃত্বে ইমতিয়াজ কবীর, মোনালি ভট্টাচার্য সহ একাধিক অফিসারদের নিয়ে তৈরি হয় অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড। গ্রেফতার হয় জায়েদ। তিন বছর আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে বন্দিদশা কাটানোর সময় জায়েদ নিজেকে একজন ধার্মিক মুসলমানে রূপান্তরিত করে। মুখ্যমন্ত্রী শ্রী রঞ্জন মৈত্রকে মৃত্যুদণ্ডের পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি লেখে। শাস্তি মকুব হলে সে ফিরে যায় নিজের গ্রামে। এখানেই বড় মোচড় অপেক্ষা করছে দর্শকদের জন্য। আদৌ কি সৎ নাগরিকে পরিণত হবে জায়েদ? টানটান এই রহস্য নিয়েই আসছে প্রীতম চট্টোপাধ্যায়ের নতুন ছবি ‘জয় হিন্দ’।
বলিউডে আগে দেশপ্রেম, ভারতের উপরে আতঙ্কবাদীদের হামলা নিয়ে অজস্র ছবি হয়েছে। ‘উরি: দ্য সার্জিকাল স্ট্রাইক’ এর অন্যতম নিদর্শন। এ বার বাংলায় এই ধরনের ছবি তৈরি হতে চলেছে। স্বাভাবিক ভাবেই অভিনয়ের জন্য ইতিমধ্যেই গা ঘামাতে শুরু করেছেন মুখ্য অভিনেতারা। মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করবেন শতাফ ফিগার, ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত, রাজনন্দিনী পাল, পলি চট্টোপাধ্যায়। কাহিনী, চিত্রনাট্য, সংলাপে দেবারতি ভৌমিক। পরিচালক আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছেন, ছবির দৃশ্য বাস্তবসম্মত করতে শহরের বেশ কিছু বস্তি এলাকায় শ্যুট করা হবে। প্রযোজনায় রূপক মুখোপাধ্যায়।