পালোমি ঘোষ।
আমেরিকায় অর্থনীতি, স্ট্যাটিস্টিকস্ পড়ে দেশে ফিরে এলেন তিনি। সব বাদ দিয়ে অভিনয়। ভেবেছিলেন দেখাই যাক অভিনয় করে। দেখতে দেখতে কোঙ্কণি ছবি 'নাচোমিয়া কুম্পাসার' এ অভিনয় করলেন। এই ছবি থেকেই অভিনয়ের জন্য জাতীয় পুরস্কার। গুজরাতে মানুষ।অনর্গল গুজরাতি বলতে পারা এই বাঙালি মেয়েকে আবিষ্কার করেছেন পরিচালক মীরা নায়ার।
লন্ডনে এই ছবি দেখে পরিচালক মীরা নায়ার তাঁকে ডেকে পাঠান। 'ডিনার টেবিলে জাস্ট আড্ডা দিচ্ছিলাম আমরা। হঠাৎ মীরা নায়ার বললেন ‘‘আমি মিউজিক্যাল করছি। তুমি ভাল গাও। আমার সঙ্গে কাজ করবে? এক্কেবারে ম্যাজিক্যাল’’ উত্তেজিত পালোমি। ‘মনসুন ওয়েডিং’ -এর নাট্যরূপে মীরা নায়ারের সঙ্গে মঞ্চে কাজ করলেন পালোমি।
হঠাৎ হাওয়ায় চলে আসে আশ্চর্য সব কাজের খবর। যেমন পরিচালক প্রদীপ সরকার 'হেলিকপ্টার ইলা'-তে কাজলের গানের একটা স্ক্র্যাচ রেকর্ড করিয়েছিলেন। ‘এই স্ক্র্যাচ শুনে কাজল বলল, আমার গলা আর তোমার গলা একরকম তো!’ এর পরেই ‘হেলিকপ্টার ইলা’-য় কাজলের সব ক’টা গান পালোমির গাওয়া।
আরও পড়ুন, বি গ্রেড ফিল্মেও অভিনয় করেছেন ‘তারক মেহতা...’র দয়াবেন!
সুযোগ তাঁর সামনে এসে দাঁড়ায়। যেমন এখন সুজয় ঘোষের নেটফ্লিক্স সিরিজে অভিনয় করবেন তিনি। আর বেশ কিছু দিন আগেই দেবারতি গুপ্ত-র ‘অনেক দিনের পরে’ ছবিতে সিঙ্গল মাদার-এর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। জি ফাইভে ইতিমধ্যেই স্ট্রিমিং-এ জনপ্রিয় হয়েছে এই ছবি। ‘‘দেবারতি খুব ব্যালান্স করে কাজটা করেছে। ওর ছবিতে কাজ করতে করতে আমি সিঙ্গল মাদার চরিত্রটার সঙ্গে একাত্ম বোধ করেছি। ও খুব সুন্দর করে সব অভিনেত্রীদের হ্যান্ডেল করেছে। সকলের ছবিটা দেখা উচিত’’, বললেন পালোমি।
সিঙ্গল মাদার- এই ভাবনাটার প্রতি ব্যক্তিগত সমর্থন কেমন?
‘‘সময়টা কোনও নির্দিষ্ট দিকে বইছে না। কেউ বলছে আমি একজন পুরুষ ছাড়া সন্তানের জন্ম দিতে পারি। কেউ বিয়ে চাইছেন না। বলছেন একসঙ্গে দুটো মানুষ চোদ্দ বছর থাকে কী করে? কেউ বিয়ে করছেন।’’
আপনার ব্যক্তিগত জীবন কেমন?
কাজলের সঙ্গে পালোমি।
‘‘আমি একদম সিঙ্গল। তবে লভ এর প্রতি আমার বিশেষ লভ আছে। আমি এমন একজনের সঙ্গে থাকতে চাই যার সঙ্গে আমি নিজের মতো করে থাকতে পারব’’ সাফ জবাব পালোমির।
তাঁর অভিনয় গুণে তাঁর কাছে কাজ হাজির হয় বলেই কী তিনি পিআর, পাবলিসিটি এই বিষয়গুলো নিয়ে ভাবেন না? ‘‘এখনও বলতে পারি না বা পারব না আমি এই কাজ করেছি। আমার ইন্টারভিউ নিন। যতটা সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের কাজ প্রমোট করা উচিত ততটা করতে পারি না। ভাল কাজ করলে কাজ নিজেই আসবে। এটা মনে হয়',হেসে বললেন পালোমি।
কাজ পাওয়া নিয়ে কোনও অন্য ধারার অভিজ্ঞতা?
খুব একটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সামনে পড়তে হয়নি সে ভাবে। ‘‘তবে একবার একটা ফোন এসেছিল তামিল ছবির প্রযোজক সংস্থা থেকে। আমার ছবি চাওয়া হল ছবিতে কাজের জন্য। দিলাম।ছবি দেখে ফোনে বলল আপকো পিকচার মিল গয়া। আপকো চেন্নাই আনা পড়েগা। প্রডিউসার, ডাইরেক্টরকে সাথ কম্প্রোমাইজ কার না পাড়েগা! খুব হেসে বলেছিলাম ইয়ে রং নাম্বার হ্যায়’’ হাসতে হাসতে বললেন পালোমি।
আরও পড়ুন, শিমলায় হঠাত্ সারা-কার্তিক! কী করছেন দু’জনে?
শুধু অভিনয় নয়, গান নিয়ে নিজস্ব কিছু কাজ করার ভাবনা চিন্তায় আছেন পালোমি। সত্যজিৎ রায়ের ছবি দেখলেও এখনকার বাংলা ছবি বিশেষ দেখা হয় না তাঁর। যদিও বললেন, ‘‘এই অভ্যেসটা খুব শীগ্গির বদলাতে হবে।’’
অভিনয়, গান, রোম্যান্স আর বলরাজ সাহানির প্রতি অপার মুগ্ধতা নিয়ে আরব সাগর থেকে কলকাতা তাঁর সুরেলা ‘ইয়াদোঁ কি আলমারি’ নিয়ে এ পার ও পার করেন পালোমি।
(সিনেমার প্রথম ঝলক থেকে টাটকা ফিল্ম সমালোচনা - রুপোলি পর্দার বাছাই করা বাংলা খবর জানতে পড়ুন আমাদের বিনোদনের সব খবর বিভাগ।)
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।