‘বেলাশুরু’
মাত্র দু’সপ্তাহে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়-স্বাতীলেখা সেনগুপ্তের প্রেমের সাক্ষী ৪ লক্ষেরও বেশি দর্শক। আনন্দবাজার অনলাইনকে এই খবর জানিয়েছেন পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। ‘বেলাশেষে’র বিশ্বনাথ মজুমদার সপরিবারে ‘বেলাশুরু’-তে ফিরতেই দর্শকের ঢল শহর ও শহরতলির প্রেক্ষাগৃহে। উইন্ডোজ প্রযোজনা সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, একই ছবি একাধিক বার দেখছেন আট থেকে আশি!
ছবি-মুক্তির সময়ে বেশ ভয়ে ভয়েই ছিলেন পরিচালক জুটি নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। দু’টি বিষয় নিয়ে তাঁদের দ্বিধা ছিল। এক, অতিমারির পরে কি আর কোনও পরিবার আগের মতো একজোটে প্রেক্ষাগৃহে আসবেন? দুই, ‘পুষ্পা’, ‘আরআরআর’ দেখা তরুণ প্রজন্ম পারিবারিক ছবিতে কতখানি আগ্রহী হবেন? নন্দিতা-শিবুর ভয় ভেঙেছে। তাঁদের দাবি, নবীনা-সহ একাধিক প্রেক্ষাগৃহে গৃহবধূরাও প্রথম বার স্বামী, দ্বিতীয় বার মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে দেখে গিয়েছেন ‘বেলাশুরু’।
শুধু কি তাই? হুইলচেয়ারে বসেও বহু প্রবীণ, প্রবীণা গিয়েছেন প্রেক্ষাগৃহে। শিবপ্রসাদের কথায়, ‘‘হুইলচেয়ারে বসে দেখবেন। তাই নীচে সামনে বসার জন্য টিকিট কেটেছেন ‘এ’ রো-এর। পূর্ণ প্রেক্ষাগৃহে ঢুকে তাঁকে বসতে হয়েছে একেবারে পিছনে। তাতেও কারও কোনও আপত্তি নেই!’’ পরিচালকের দাবি, অতিমারির সময়ে বা পরে হলমালিকেরা নিয়মিত প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে দেখতেন দর্শকসংখ্যা কত। সেই সংখ্যা ১০ থেকে বেড়ে যে দিন ১০০ হয়েছে, তাঁরা কর্মীদের নিয়ে খাওয়াদাওয়া করেছেন। সুদিন ফিরছে, তার উদ্যাপনে। ১৪ দিনে ৪ লক্ষেরও বেশি দর্শক পেয়ে তাঁরাও আপ্লুত। আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ‘টিম বেলাশুরু’কে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।