গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
‘জানে তু ইয়া জানে না’ ছবির মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে ইমরান খানের। ফিল্মি পরিবারের ছেলে। আমির খানের ভাগ্নে। প্রথম ছবিতেই সাফল্য পান তিনি। ছিপছিপে গড়ন, পিঙ্গল চোখ, ধবধবে ফর্সা গায়ের রং— সব মিলিয়ে নারীহৃদয়ে ঝড় তোলেন অভিনেতা। পর পর বেশ কিছু ছবির প্রস্তাব পান তিনি। বলিপাড়ার নামজাদা নায়িকাদের বিপরীতে দেখা যায় তাঁকে। দীপিকা পাড়ুকোন, কঙ্গনা রানাউত, করিনা কপূর খান— সকলের সঙ্গেই কাজ করেছেন। বিপুল অর্থ রোজগারও করেন অল্প সময়ে। বিয়ে করেন দীর্ঘ দিনের বান্ধবী অবন্তিকা মালিককে। কিন্তু তার পরই যেন ক্রমাগত ব্যর্থতা। অবশেষে বলিউড থেকে মুখ ফেরান ইমরান। ছেড়ে চলে যান স্ত্রী। ইমরানের জীবন থেকে চলে গেল বান্দ্রার বিলাসবহুল বাংলো, ফেরারি গাড়ি। অভিনেতা নিজেই জানিয়েছেন, বিবাহবিচ্ছেদের পর থেকেই নাকি জীবনে এমন বদল।
যদিও গোটাটাই স্বেচ্ছায় করেছেন অভিনেতা। বাংলো ছেড়ে গত পাঁচ বছর ধরে একটি ফ্ল্যাট থাকেন। যতটুকু প্রয়োজন জীবনযাপনের জন্য, তাতেই সন্তুষ্ট তিনি। নিজের চুল নিজে কাটেন। বছরের পর বছর ধরে একই জামাকাপড় ব্যবহার করেন। এক বেলা রাঁধুনি রান্না করে দিলে অন্য বেলা মায়ের কাছে খেতে যান। অভিনেতা জানান, বিবাহবিচ্ছেদের পর চেয়েছিলেন নিজের গোটা সময়টা মেয়ে ইমারাকে দিতে। নিজেকে আরও ভাল মানুষ হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন। সেই কারণে ত্যাগ করেন জাগতিক সুখ ও বিলাস। বলিউডের কেরিয়ার তাঁকে খ্যাতি বা সাফল্য না দিলেও মোটামুটি যশ এনে দিয়েছিল। তাই মাত্র ৩০ বছরেই তিনি বিরতি নিতে পারেন। আর সেটাই করছেন ইমরান।