সাদা ঢাকাই, লাল ব্লাউজ, গালে লাল আবির। সঙ্গে রঙে রং মেশাতে গিয়ে ইমন নিজেই রঙিন। তাঁর ছাত্র-ছাত্রীদের কণ্ঠে রবীন্দ্র গান ‘ফাগুন লেগেছে বনে বনে’ কিংবা ‘ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দান’
উৎসবের সূচনা মদন মিত্রের উপস্থিতিতে। হলুদ পাঞ্জাবি, লাল ধাক্কাপাড় ধুতিতে সজ্জিত কামারহাটির বিধায়ক। এর আগে জানিয়েছিলেন, তিনি ইমনের গান ছাড়া আপাতত আর কিছু শুনবেন না। কথা রাখতেই কি এ দিন বসন্তের দূত মদন?
উপস্থিত ছিলেন সাংসদ-বিধায়ক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে মদন মিত্র যদি অনুষ্ঠানের জৌলুস হন, তা হলে তুরুপের তাস অবশ্যই ‘বাদাম কাকু’ ভুবন বাদ্যকার। গানে গানেই তিনি জানিয়েছেন তাঁর মনের ইচ্ছে, ‘আমার বাদাম কেড়ে নিল বিশ্ববাসীর মন, শিল্পী হতে চাই গো বাবু জানাই যে প্রণাম।’
বাকিদের মতো ভুবনও এ দিন রঙিন হলুদ পাঞ্জাবি, উত্তরীয়, জহর কোট আর ট্রাউজারে। এর পরেই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে গেয়ে ওঠেন ‘কাঁচা বাদাম’। গানের তালে নেচে ওঠেন ইমন। দুলে উঠেন উপস্থিত সব বয়সের শ্রোতা।
বাংলার তাবড় গায়ক, বাদ্যকার, বাচিক শিল্পী যোগ দেন ইমনের এই অনুষ্ঠানে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়, লোপামুদ্রা মিত্র, শিলাজিৎ মজুমদার, রথীজিৎ ভট্টাচার্য-সহ বহু গুণিজন উপস্থিত ছিলেন মঞ্চে।
সাদা ঢাকাই, লাল ব্লাউজ, গালে লাল আবির। সবার রঙে রং মেশাতে গিয়ে ইমন নিজেই রঙিন। তাঁর ছাত্র-ছাত্রীদের কণ্ঠে রবীন্দ্র গান ‘ফাগুন লেগেছে বনে বনে’ কিংবা ‘ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দান’। নাচে-গানে রং ছড়িয়েছেন তাঁরা।
লোপামুদ্রা মিত্র মানেই আসর জমানো গান। তালিকায় ছিল, ‘বাংলা আমার সর্ষে ইলিশ’ থেকে ‘যেটা আমার ভাল সেটা মন্দ তোমার কাছে’, ‘আয় আয় কে যাবি’। ছিলেন পটা, অনুষ্কা, মিস জোজো, রক্তিম, অর্কদীপ মিশ্রও। গোটা অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেছেন নীলাঞ্জন এবং শৌভিক।