RK Studio

গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে রাজ কপূরের সাধের স্টুডিও!

২০১৭-য় আচমকাই আগুন লেগে যায় এই স্টুডিওতে। পুড়ে যায় বেশ খানিকটা অংশ। বাধ্য হয়েই এমন সিদ্ধান্ত নেয় কপূর খানদান।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০১৯ ২১:৩৪
Share:

আর কে স্টুডিও। ইনসেটে: রাজ কপূর

‘রোল, ক্যামেরা, অ্যাকশন’— একসময় স্টুডিয়োর ঘরে ঘরে প্রতিধ্বনি হত এই তিনটি শব্দের। হাজার আলোর ঝলকানি, তারকাদের ভিড়, সব মিলিয়ে সে এক এলাহি আয়োজন। কিন্তু এ বার সেখানে হবে এক মাল্টিপ্লেক্স।

Advertisement

কথা হচ্ছে বলিউডের ‘শো ম্যান’ রাজ কপূরের তৈরি আরকে স্টুডিওর। গত বছর সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ না করতে পারায় এক রিয়েল এস্টেট সংস্থার কাছে স্টুডিওটি বিক্রি করে দেয় কপূর পরিবার। এ বার পাকাপাকি ভাবে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে রাজ কপূরের স্মৃতি মাখা সেই সাধের সৌধটি।

২০১৭-য় আচমকাই আগুন লেগে যায় এই স্টুডিওতে। পুড়ে যায় বেশ খানিকটা অংশ। বাধ্য হয়েই এমন সিদ্ধান্ত নেয় কপূর খানদান। ১৯৪৮-এ রাজ কপূর মুম্বইয়ের চেম্বুরে তৈরি করেন এই স্টুডিও। ‘মেরা নাম জোকার’, ‘সত্যম শিবম সুন্দরম’,‘ববি’-র মতো আইকনিক ছবির শুটিং হয়েছে এই জায়গায়। শুধু কি শুটিং? গণেশ চতুর্থী, হোলির মতো উৎসবও ধুমধামের সঙ্গে পালিত হয়েছে এখানে। ১৯৯৯-তে ঋষি কপূরের ‘আ অব লট চলে’ সিনেমার পর আর কোনও সিনেমার শুটিং হয়নি এখানে।

Advertisement

আরও পড়ুন: চোখে নেই কালো চশমা, নেই ‘চামচা’দের উপস্থিতি, সারাকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত টুইট ঋষির

আরও পড়ুন: মুকুল রায়ের সঙ্গে দেখা ঘটনাচক্রে, তা নিয়ে এত বিতর্ক কেন: প্রসেনজিৎ

তারপর কেটে গেছে বেশ কয়েক বছর। হাইটেকের যুগে আরকে-র গ্ল্যামার যে কোথায় হারিয়ে গিয়েছে কেউ তা জানে না। কিছুদিন আগে ঋষি কপূর এক সর্বভারতীয় দৈনিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “বাধ্য হয়েই এই সিদ্ধান্তে এসেছি আমরা। বাস্তব জীবনে সবসময় ফিনিক্স পাখি হওয়া সম্ভব হয় না। আগুনে পুড়ে যাওয়ার পর স্টুডিওটি পুনর্নির্মাণ করতে যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন তা এখনই বিনিয়োগ করা সম্ভব নয়।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement