১৯৯৮ সালের কৃষ্ণসার হত্যা এবং চিঙ্কারা শিকার মামলায় সলমন খান বেকসুর খালাস পাওয়ার পর দীর্ঘ ফেসবুক পোস্ট লিখেছিলেন তিনি। আর তার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সলমন অনুরাগীরা তাঁকে ভর্ত্সনা করছেন। সে কারণেই ফের মুখ খুললেন রেণুকা সাহানে। সংবাদমাধ্যমকে বললেন, ‘‘আমি সলমন বিরোধী নই। এমনকী, আমার পোস্টও সলমন-বিরোধী ছিল না।’’
গত সোমবার যোধপুর আদালত এক রায়ে ১৯৯৮ সালের কৃষ্ণসার হত্যা এবং চিঙ্কারা শিকার মামলায় সলমনকে নির্দোষ বলে জানিয়েছে। সে দিন টুইটার বা ফেসবুকে সে দিন আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন দর্শকদের একটা বড় অংশ। প্রথম আওয়াজ তোলেন সল্লু মিঞার পর্দার ‘ভাবি’ রেণুকা সাহানে। ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’ ছবিতে রেণুকা সলমনের বৌদির ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় দু’দিন ধরে ট্রোলড হওয়ার পর তিনি বললেন, ‘‘আমি বুঝতে পারছি সলমন ভক্তরা দুঃখ পেয়েছেন। আমাকে অ্যান্টি-সলমন বলে ট্যাগ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মানুষ বোধহয় পুরো পোস্ট না পড়ে বা না বুঝে মন্তব্য করছেন। আমার সলমনের সঙ্গে খুব ভাল সম্পর্ক। আমি ওই পোস্টে বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্ন করেছিলাম। কোনও মামলা ২৫ বছর ধরে চলার কোনও মানে হয় না। ওই মামলার সঙ্গে যুক্ত সকলেরই একটা মানসিক চাপ হচ্ছিল।’’
সে দিন রেণুকা ফেসবুকে লেখেন, ‘১৯৯৮-তে সলমন খান, সইফ আলি খান, অমৃতা সিংহ, তব্বু এবং সোনালি বেন্দ্রে শিকার করতেই গিয়েছিল। ওরা শিকার করে হরিণের মাংসও খেয়েছিল। কিন্তু একমাত্র সলমনের বিরুদ্ধেই কৃষ্ণসার হরিণ মারার জন্য অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। ওকে জোধপুর জেলেও থাকতে হয়েছে। কিন্তু বাকিরা?...১৮ বছর পর মুক্তি পেল সলমন। কয়েকটা প্রশ্ন মনে আসছে। ১) হরিণ কে মেরেছিল? ২) ড্রাইভার? ৩) কেউই মারেনি? ৪) আজ প্রমাণিত যে সলমন দোষ করেনি। কিন্তু এতদিন ধরে ও যে মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে কাটাল তার দাম কে দেবে? ৫) দেশের মানুষ কি আসল সত্যিটা জানতে চান না?...’