জামিনের অপেক্ষায় আরিয়ান।
ফাঁসানো হচ্ছে তাঁকে। হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ভুল ব্যাখ্যা করছে জাতীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এনসিবি)। জামিনের জন্য আবেদন করে হাইকোর্টকে এমনই বললেন শাহরুখ-পুত্র আরিয়ান খান।
বিশেষ আদালতে একাধিক বার তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হওয়ায় বুধবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আরিয়ান। ২৬ অক্টোবর তাঁর জামিনের শুনানি। আরিয়ানের মতে, তাঁর হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথনকে ‘ভুল এবং অন্যায়’ ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। প্রমোদতরীর পার্টিতে তাঁর কাছ থেকে কোনও মাদক পাওয়া যায়নি বলেও জানিয়েছেন আরিয়ান। এখনও পর্যন্ত মাদক-কাণ্ডে মোট ২০ জনকে গ্রেফতার করেছেন এনসিবি। আরিয়ানের দাবি, তাঁদের মধ্যে আরবাজ শেঠ মার্চেন্ট ছাড়া আর কারও সঙ্গেই তাঁর পরিচয় নেই। যে কথোপকথনের উপর ভিত্তি করে এনসিবি তদন্ত এগোচ্ছে, তার সঙ্গে কোনও ধরনের ষড়যন্ত্রের যোগসূত্র নেই বলেও দাবি করেছেন তিনি।
প্রভাবশালী হওয়ায় জামিন পেলে তথ্যপ্রমাণ নয়ছয় করতে পারেন তিনি— জামিনের আবেদন খারিজ করার সময় একাধিক বার এই যুক্তি দেখানো হয়েছিল বিশেষ আদালতে। আরিয়ানের পাল্টা যুক্তি, আইনত আগে থেকেই ধরে নেওয়া যায় না যে একজন ব্যক্তি প্রভাবশালী হলেই তিনি তথ্যপ্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা করবেন।
৩ অক্টোবর বন্ধু আরবাজ মার্চেন্ট শেঠ এবং মুনমুন ধামেচার সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছিলেন আরিয়ান। ২০ দিন ধরে মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেল শাহরুখ-পুত্রের ঠিকানা। মঙ্গলবার কি জামিন পাবেন তিনি? এখনও তা স্পষ্ট নয়।