১০০ পর্ব উদ্যাপন টিম লক্ষ্মী কাকিমার
দেবব্রতর বুকে মাথা দিয়ে হাউ হাউ করে কাঁদছেন লক্ষ্মী কাকিমা। ক্যামেরা থামতেই হাসির ফোয়ারা। শট দিয়েই গাড়ির দিকে ছুটলেন দেবব্রত ওরফে দেবশঙ্কর হালদার। ‘লক্ষ্মী কাকিমা’ ওরফে অপরাজিতা আঢ্য তখনও শটের মাঝে। টালিগঞ্জের ১৩ নম্বর স্টুডিয়োয় হাসি-কান্নায় এই ভাবেই কেটে যাচ্ছে ‘লক্ষ্মী কাকিমা’র পর্দার সংসার।
দোকান আর বাড়ি মিলিয়ে সকাল থেকে শুরু হয় তাঁর ব্যস্ততা। তবে বৃহস্পতিবার লক্ষ্মী কাকিমার বাড়ি ছিল জমজমাট। ১০০ পর্ব বলে কথা! সংসারের ব্যস্ততার মাঝেও উদ্যাপন তো হতেই হবে। এল বড় চকোলেট কেক। তাতে লক্ষ্মী কাকিমার ছবি। কারণ, তিনিই-তো মা লক্ষ্মী! দেবব্রতর কাছে তিনি তা-ই। গাড়িতে উঠতে উঠতে সেটাই বলে গেলেন দেবশঙ্কর।
এক পাশে বৌমা, আর এক পাশে স্বামী। কেক কাটলেন তিনি। একে অপরকে খাইয়ে দিলেন কেক। হাত মুছতে মুছতে আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে আড্ডা জমল অপরাজিতার। বললেন, “একশো পর্ব পার হয়ে গেল কিন্তু উদ্দীপনা সেই একই আছে, তা কি আপনারা লক্ষ করেছেন? প্রথম দিনের ভ্যান চালানো থেকে আজ দেবুদার জীবনে এই সমস্যা, উদ্দীপনা একই রকম। চার বছর পরে আবার ধারাবাহিকে অভিনয় করছি। সহ-অভিনেতা আবার দেবশঙ্কর হালদার। প্রতিদিন আমার একটা ওয়ার্কশপ হয়ে যাচ্ছে!”
টিআরপি কী বলছে? অপরাজিতার কথায়, “২৫ বছর ধরে অভিনয় করছি, এই নম্বর দিয়ে যদি আমার রেটিং হয়, তা হলে তো কিছু বলার নেই! তবে হ্যাঁ, এই টিআরপির উপর চ্যানেলের অনেক কিছু নির্ভর করে। সে ক্ষেত্রে এই নম্বর খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
অপরাজিতার হা হা হাসির সঙ্গে সবাই পরিচিত। তাঁর বৌমার হাসিও যে অনেকটা একই রকম, তা ‘লক্ষ্মী কাকিমা’র বাড়ি না গেলে বোঝা যেত নাকি? অপরাজিতার রিলের সঙ্গীও তিনি। শার্লি মোদক। ধারাবাহিকে বাড়ির ছোট বৌমা। শার্লির কাছে এই ১০০ পর্ব অনেকটা স্বপ্নের মতো। তাঁর কথায়, “মনেই হচ্ছে না, এত তাড়াতাড়ি এতগুলো পর্ব কাটিয়ে ফেললাম। অপরাজিতাদির সঙ্গে এক অন্য রকম বন্ধুত্ব তৈরি হয়ে গিয়েছে।” টালিগঞ্জের এই স্টুডিয়োই এখন তাঁর বাড়িঘর। নিজের বাড়ির কথা ভুলেই গিয়েছেন প্রায়! আর প্রেম? শার্লি হাসতে হাসতে বললেন, “ও আমাকে নিতে আসে আর মাঝে মাঝে শ্যুটিংয়ে দিয়ে যায়। আমার যাওয়া-আসার এই পনেরো মিনিটই শুধু প্রেমের জন্য।”
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।