‘প্রিয়তমা’ ছবিতে বৃদ্ধের সাজে শাকিব খান। ছবি: সংগৃহীত।
চামড়ায় ভাঁজ পড়েছে। গালে, কপালে ফুটে উঠেছে বলিরেখা। ঘাড় অবধি লম্বা কাঁচাপাকা চুল। মুখভর্তি দাড়ি। ৮০ বছরের বৃদ্ধরূপে দর্শকের সামনে ধরা দেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খান। প্রথমে নায়ককে দেখে কেউ চিনতে পারেননি। আগে এ ভাবে কখনও প্রকাশ্যে আসেননি অভিনেতা। এই প্রথম ‘প্রিয়তমা’ ছবির জন্য শাকিবকে দেখা গেল এমন চেহারায়। ফলে তাঁর অনুরাগীদের কাছে তাঁর এই লুক যেন এক বড় চমক। এ পার বাংলায় এমন প্রস্থেটিক মেকআপে বিভিন্ন তারকাদের আগেও দেখা গিয়েছে। কিন্তু ও পার বাংলায় লুক বা মেকআপ নিয়ে এই মাপের পরীক্ষা-নিরীক্ষা খুব বেশি দেখা যায় না। ফলে বৃদ্ধ শাকিবকে নিয়ে শুরু হয় বিপুল চর্চাও। কিন্তু এই লুকের জন্য কত খরচ হয়েছে? শুধু খরচ নয়, ছবির পরিচালক হিমেল আশরাফ প্রথমে দোটানায় ছিলেন। এ ধরনের লুকে শাকিব প্রকাশ্যে আসতে রাজি হবেন কি না, তা নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল মনে।
শাকিব খান। —ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’-কে পরিচালক বলেন, “ছয়-সাত মিনিটের এই অংশ করতে শাকিব খান রাজি হবেন কি না, সেটা নিয়েও ভাবনা ছিল। কিন্তু চিত্রনাট্য পড়ে বৃদ্ধের অংশটুকু করতে দারুণ আগ্রহী হয়ে ওঠেন শাকিব। নিজে থেকেই বার বার তাগাদা দিতে থাকেন। সামান্য একটা অংশের জন্য বড় বাজেট বরাদ্দ করতে হয় আমাদের।” প্রস্থেটিক রূপসজ্জায় দক্ষ একটি টিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাঁদের ১৫ দিন সময় দিতে হয়েছিল। শাকিবের এই লুকের নেপথ্যে রয়েছেন রূপটানশিল্পী সবুজ খান।
তিনি ‘প্রথম আলো’-কে বলেছেন, “পুরো শুটিংয়ে আমরা এই অংশটা নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। কারণ, প্রস্থেটিক মেকআপ করাটা কঠিন। দীর্ঘ সময় প্রয়োজন হয়। একটানা বসে থাকতে হয়। ভুল করা যাবে না। সব আলাদা করে লিখে রাখতে হয়। মেকআপের কাজগুলোও ভাগ করে দিতে হয়। শুটিংয়ের সময় এই মেকআপ দিতে আমাদের প্রতি দিন ছয় থেকে সাত ঘণ্টা লাগত। এই মেকআপ তুলতেও আবার তিন ঘণ্টা সময় লেগেছিল। তিন দিন আগে থেকেই আমরা টানা এই মেকআপের সঙ্গে ছিলাম।”
এই মেকআপ করতে যেমন অনেক বেশি সময় লাগে, তেমনই পদ্ধতিও বেশ ব্যয়সাপেক্ষ। তাই এই ধরনের মেকআপের কাজ ছবিতে ব্যবহার করতে রাজি হন না অনেক প্রযোজকই। তবে এ ক্ষেত্রে তেমনটা হয়নি। ইন্ডাস্ট্রির অন্দরের খবর, শাকিবের এই লুকের জন্য খরচ হয়েছে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা।