জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ-সুকেশ চন্দ্রশেখরের প্রেমকাহিনি ঝড় তুলেছিল বলিউডের অন্দরে। একজন অবৈধ আর্থিক লেনদেনকারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের মাশুল এখনও দিতে হচ্ছে বলিউডের এই নয়িকাকে। যদিও জ্যাকলিনের দাবি, সুকেশের আসল পরিচয় তাঁর জানা ছিল না।
সূত্রের খবর, তিহাড় জেলে বন্দি থাকাকালীন নিয়মিত যোগাযোগ ছিল দু’জনের। এমনকি, ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে কথাও হত তাঁদের মধ্যে।
২০২১-এর প্রথম দিকেই সুকেশ চন্দ্রশেখরের প্রেমে পড়েন জ্যাকলিন। তাঁদের ঘনিষ্ঠ ছবি নিয়ে সমালোচনাও হয় বলিউডে। এর পরই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর পক্ষ থেকে জ্যাকলিনকে তলব করা হয়। বলিউড ঘিরে তখন জ্যাকলিনকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে।
মুম্বইয়ের সংবাদ সংস্থার কাছে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, আলাপের প্রথম দিকে তাঁর কাছে আসল পরিচয় লুকিয়ে নিজেকে একজন অলঙ্কার ব্যবসায়ী ও সম্প্রচার সংস্থার মালিক হিসাবে পরিচয় দিয়েছিলেন সুকেশ।
জ্যাকলিন জানিয়েছেন, তিনি জানতেনও না সুকেশ তাঁকে জেলের ভিতর থেকে ফোন করছেন। জ্যাকলিন দেখা করার কথা বললেই এড়িয়ে যেতেন সুকেশ। আর এখানেই নাকি সন্দেহ হয় অভিনেত্রীর।
ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদে এই কথাই জানিয়েছিলেন বলিউড-নায়িকা।
জ্যাকলিনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে সুকেশের আইনজীবী সংবাদমাধ্যমকে জানান, খুব কম সময় সম্পর্ক ছিল তাঁদের। সুকেশের সঙ্গে জেলে কখনও দেখা করতে জাননি জ্যাকলিন। মাত্র দু’বার তাঁরা দেখা করেছিলেন। সম্পর্ক ছিল সাত মাস। কিন্তু এক জন মানুষকে চিনে ওঠার জন্য বা তাঁর আসল পরিচয় জানার জন্য এই সময়টা যথেষ্ট।
ওই আইনজীবী আরও জানান, সুকেশ কে, কী তার আসল পরিচয়— জ্যাকলিন জানতেন না, এটা বিশ্বাস করা যায় না। কারণ গুগলে সামান্য অনুসন্ধান করলেই জানা যায় সুকেশের আসল পরিচয়।