কঙ্গনা রানাউত। ছবি: সংগৃহীত।
পেশায় বলিউড অভিনেত্রী তিনি। তবে গত কয়েক বছরে তাঁর অভিনয়ের ঝলক দেখেননি দর্শক। ২০১৫ সালের শেষ দিক থেকে শুরু হয়েছে কঙ্গনা রানাউতের ফ্লপের ধারা। ‘তনু ওয়েডস মনু রিটার্নস’-এর পরে সেই বছরই মুক্তি পেয়েছিল ‘কাট্টি বাট্টি’। বক্স অফিসে একেবারেই দাগ কাটতে পারেনি সেই ছবি। তার পরে ‘সিমরন’, ‘জাজমেন্টাল হ্যায় কেয়া’, ‘পাঙ্গা’, ‘থালাইভি’, ‘ধাকড়’-এর মতো ছবিতে কাজ করেছেন কঙ্গনা। এতগুলি ছবি মুক্তি পাওয়ার পরেও সাফল্যের ধারেকাছে যায়নি একটি ছবিও। চলতি বছরে গত ২৭ অক্টোবর মুক্তি পেয়েছে কঙ্গনার ‘তেজস’। এই ছবি নিয়ে প্রত্যাশা ছিল অনুরাগীদের। ‘তেজস’ নিয়ে নিজেও আশায় বুক বেঁধেছিলেন কঙ্গনা। সে গুড়ে বালি! অভিনয়ে একের পর এক ব্যর্থতার পরে এ বার রাজনীতির দিকে পা বাড়াচ্ছেন বিতর্কিত তারকা। কঙ্গনার সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানালেন হিমাচল প্রদেশের কংগ্রেস নেত্রী।
দেশের রাজনীতি নিয়ে বরাবরই সরব কঙ্গনা। বিশেষত, নিজের বিজেপি-ঘেঁষা মতামতের জন্য একাধিক বার সমালোচনা ও বিতর্কের মুখেও পড়তে হয়েছে অভিনেত্রীকে। তবে পিছু হঠতে নারাজ কঙ্গনা। দিন কয়েক আগে কঙ্গনা জানান, শ্রীকৃষ্ণের কৃপা থাকলে নাকি রাজনীতিতেও পা রাখতে রাজি তিনি। কঙ্গনার সেই মন্তব্যের পরেই শুরু হয়েছিল জল্পনা। তবে কি সত্যিই রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছেন তিনি? হিমাচল প্রদেশের মেয়ে কঙ্গনা। সেই সূত্রেই সম্প্রতি হিমাচলের কংগ্রেস নেত্রী প্রতিভা সিংহকে কঙ্গনার রাজনীতিতে পা রাখা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘তিনি যদি বিশ্বাস করেন যে তিনি জিততে পারবেন, তা হলে ভোটে দাঁড়ান!’’ যদিও সে ক্ষেত্রে কোন দলের হয়ে কঙ্গনাকে নির্বাচনে লড়তে দেখতে চান তিনি, তা খোলসা করেননি মান্ডির কংগ্রেস সাংসদ।
আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে এই মুহূর্তে কোমর বাঁধছে সব রাজনৈতিক দল। এর আগে একাধিক বার রাজনীতি নিয়ে নিজের উৎসাহের কথা প্রকাশ করেছেন কঙ্গনা। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনেই কি রাজনীতিক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করবেন অভিনেত্রী? তা নিয়েই এখন জল্পনা।