সাদা পাতায় লেখা এক-একটি চরিত্র জীবন্ত হয়ে ওঠে তাঁদেরই রূপে-গুণে। কিন্তু অভিনয়ের বাইরে, ‘লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন’-এর বৃত্তের বাইরেও অচেনা কিছু গুণ আলাদা করে তোলে কিছু তারকাকে। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক কার কী শখ, চেনা তারকাদের অচেনা দিক।
ঋতাভরী চক্রবর্তী: ছোট পর্দা থেকে ছবি, টলিউড থেকে বলিউড চষে ফেলেছেন অনেকটাই। একাধিক কাজের ব্যস্ততা সঙ্গী। কিন্তু সব কিছুর ফাঁকেই কিছুটা সময় ঠিক বার করে নেন ‘ওগো বধূ সুন্দরী’র ললিতা। নানা জিনিসের ক্ষুদ্র সংস্করণ তৈরি করেন তিনি। ইংরেজিতে যাকে বলে ‘মিনিয়েচর আর্ট’।
চিরঞ্জিত চক্রবর্তী: তিন দশকের বেশি সময় কেটেছে টলিউডে। আড়াইশোর বেশি ছবিতে অভিনয়। কিন্তু রং-তুলিতেও তিনি সমান স্বচ্ছন্দ। একই সঙ্গে মন দেন কাব্যচর্চাতেও।
মুনমুন সেন: তাঁর রূপে-লাস্যে মজে ছিল একটা গোটা প্রজন্ম। সৌন্দর্যে-আবেদনে এখনও হাঁটুর বয়সিদের অনেককেই টেক্কা দেন দিব্যি। কিন্তু জানেন কি, রং-তুলি নেশা মুনমুনেরও? তাঁর আঁকার হাতের খবর রাখেন যাঁরা, তাঁরা তারিফও করেন ততটাই।
রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়: অভিনয়ের পাশাপাশি এ বার পা রাখছেন পরিচালনাতেও। তবে এই দুইয়ের বাইরেও আরও একটি পরিচয় আছে ‘দেশের মাটি’-র রাজার। আগাগোড়াই লেখালেখি ভালবাসেন। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নিয়ম করে তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়।
ঋষি কৌশিক: রেসিং বাইকের প্রতি তাঁর অমোঘ টান। মাঝেমধ্যেই ‘অ্যাডভেঞ্চার’-এ ছুটে যান প্রিয় বাহনকে নিয়ে। কখনও শহর-গ্রামের রাস্তা ধরে লম্বা সফর, কখনও বা দুর্গম পাহাড়ি পথে ছুট—বাইক-প্রেমে বরাবরই হাবুডুবু পর্দার ‘উজান’।
রুকমা রায়: ‘খড়কুটো’ ধারাবাহিকের ‘তিন্নি’ হয়ে ইদানীং শাপ-শাপান্ত তাঁর নিত্য সঙ্গী। কিন্তু পর্দার ‘খলনায়িকা’ যে বাস্তবের সুগায়িকা, জানতেন? মিষ্টি গানের গলা রুকমার। পরপর গানে বন্ধুদের আড্ডার আসর জমিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব বর্তায় তাঁর উপরেই।
সন্দীপ্তা সেন: অভিনয়ের পাশাপাশি মানুষের মনের খবর রাখা বরাবরই তাঁর শখ। রাজাবাজার সায়েন্স কলেজ থেকে মনোবিদ্যায় নিয়ে পড়াশোনাও করেছেন সন্দীপ্তা। শখ এখন পেশাও বটে। লকডাউনের দিনগুলোতে মনের দিক থেকে বিধ্বস্ত হয়ে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়াতে অনলাইন কাউন্সেলিংও শুরু করেছিলেন।
সব্যসাচী চক্রবর্তী: মনের মতো যা কিছু দেখেন, তা লেন্সবন্দি করে রাখতে ভালবাসেন ‘ফেলুদা’। জঙ্গলে ঘুরে ক্যামেরার চোখে ছুঁয়ে দেখেন বন্যপ্রাণ। মগজাস্ত্র নয় শুধু, হাতে ক্যামেরা থাকলে তাঁর চোখও সমান তীক্ষ্ণ। আলোকচিত্রী মহলে রীতিমতো চর্চিত সব্যসাচীর ছবি তোলার হাত ।
বাদশা মৈত্র: সব্যসাচীর মতো ছবি তোলার নেশা তাঁরও। অভিনয়, রাজনীতির বাইরে ক্যামেরাকে সঙ্গী করে দিন কাটে। এক সময়ে বনে-জঙ্গলে ঘুরে বহু ছবি তুলেছেন। সম্প্রতি তেমনই এক ছবি ভাগও করে নিয়েছেন ফেসবুকে।
সোহিনী সরকার: হাতে একাধিক কাজ। টানা ব্যস্ততাও। ছবির পাশাপাশি সময় দেন থিয়েটারকেও। সোহিনীর অবসর কাটে বই পড়ে। সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের ‘শিউলি’ এখনও তাঁকে ফিরিয়ে দেয় শৈশবে।