নিজের ছবির প্রচারে ব্যস্ত পরিচালক হেমন্ত তিওয়ারি। ছবি: সংগৃহীত।
যে কোনও ছবি তৈরি করা থেকে সেটি প্রেক্ষাগৃহ অবধি নিয়ে যাওয়া একটা লম্বা প্রক্রিয়া। বিস্তর ঝক্কিও থাকে তার সঙ্গে। সঠিক প্রযোজক, তার সঙ্গে চর্চিত নাম এবং ছবিটি বিক্রির জন্য রাখতে হয় একটি জনসংযোগ টিম। তবে এক জন পরিচালক নিজের ভাবনাকে পর্দায় দেখতে পান। আর এর কোনও একটা কিছুর খামতি হলে গোটা বিষয়টা যেন অর্থহীন হয়ে যায়। যদিও তথাকথিত এই প্রক্রিয়া ছাড়াই নিজের ছবিকে দর্শকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার নতুন কৌশল নিয়েছেন পরিচালক হেমন্ত তিওয়ারি।
বিহারের ছেলে হেমন্ত তৈরি করেছেন সাদাকালো ছবি ‘লোমাড়’। ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিটের ছবিটি শুটিং করার সময় কোনও ‘কাট’ হয়নি। ছবি তৈরির পর তা বিক্রির জন্য একটি বিশাল টাকা বরাদ্দ থাকে পরিচালকদের। ডিস্ট্রিবিউটরদের সঙ্গে কথা বলতে হয়। হল মালিকদেরও সঙ্গেও বলতে হয়। কিন্তু এই ছবির ক্ষেত্রে সবটাই একা হাতে করেছেন হেমন্ত।
দেশের বিভিন্ন শহরে ঘুরে ঘুরে নিজেই প্রচার চালাচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যে মুম্বইয়ের প্রেক্ষাগৃহে দেখানো হয়েছে ছবিটি। আরব সাগর পারের মেরিন ড্রাইভ থেকে কলকাতা বিমানবন্দর বা মেট্রো স্টেশন— বিভিন্ন অঞ্চলে গলা ফাটিয়ে নিজেই ছবির প্রচার চালাচ্ছেন। কলকাতার একটি প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি প্রদর্শিত হওয়ারও কথা। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সময়ই চাকরি শুরু করেন। পরে অবশ্য মুম্বইয়ে অভিনয়ের প্রশিক্ষণও নিয়েছেন। এটিই তাঁর প্রথম ছবি। কোনও বড় প্রযোজনার সংস্থার ছাতার তলায় নয়, নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী স্বাধীন ভাবে তৈরি ছবি। কিন্তু নিজেই ছবির প্রচার করার কেন সিদ্ধান্ত নিলেন পরিচালক? আনন্দবাজার অনলাইনকে হেমন্ত বলেন, “প্রথমে আমায় দেখে অনেকে হাসাহাসি করতেন। আসলে আমার অত টাকা (বাজেট) ছিল না। তবে এখন অনেকেই আমায় চিনতে পারেন রাস্তায়। রাস্তায়, মেট্রোতে, বাজারে মানুষ যখন আমায় দেখেন ছবির প্রচার করতে, অনেকে সম্মানও করেন।” ২৫ অগস্ট কলকাতার একটি প্রেক্ষাগৃহে দেখানো হবে ছবিটি। আগামী দিনে আরও ভাল তৈরি করার ইচ্ছা রয়েছে তাঁর।