(বাঁ দিকে) এষা দেওল এবং হেমা মালিনী (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
বড় মেয়ে এষা দেওলের দাম্পত্য সম্পর্কে চিড় ধরেছে। ভাঙছে সংসার। এমন একটি পরিস্থিতিতে অযোধ্যায় গেলেন মা হেমা মালিনী। পুজো দিলেন রামমন্দিরে। ১৬ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার অযোধ্যায় যান বর্ষীয়ান এই অভিনেত্রী। অযোধ্যায় পা দিয়েই প্রথমে রামলালার পুজো দিতে যান। পুজো দেওয়ার পর বাইরে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখিও হন হেমা।
এষা এবং তাঁর স্বামী ভরত তখতানি তাঁদের দাম্পত্য বিচ্ছেদের খবরে যৌথ সিলমোহর দিয়েছেন। তার পর থেকে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে এষা মা হেমামালিনীর কাছেই থাকতে শুরু করেছেন। কিন্তু হেমা মেয়ের সংসারে মাথা গলাতে চান না। মেয়ে এবং জামাইয়ের সম্পর্ক নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি হেমা। দেওল পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, মেয়ের জীবন নিয়ে কোনও কথা বলতে চান না হেমা। এ ক্ষেত্রে এষার সিদ্ধান্তই তাঁদের কাছে শেষ কথা। মুখে কিছু না বললেও মেয়ের জীবনের এমন একটি ঘটনায় মা হিসাবে স্বাভাবিক ভাবেই চিন্তিত হওয়া স্বাভাবিক। এই পরিস্থিতিতে হেমার রামমন্দিরে যাওয়ার ঘটনায় অনেকেরই মনে হয়েছে তিনি বোধহয় রামলালার কাছে গিয়েছেন মেয়ের জীবনে যাতে শান্তি বজায় থাকে, সেই প্রার্থনা নিয়ে। এটা পুরোটাই অনুমান। তাঁর রামমন্দিরে আসার কারণ হেমা কিছু বলেননি।
পুজো দিয়ে বেরোনোর পর হেমা বলেন, ‘‘রামলালাকে দর্শন করলাম। খুব সুন্দর হয়েছে। গোটা ব্যবস্থাপনাই খুব ভাল। সবচেয়ে ভাল লাগছে এই মন্দিরকে কেন্দ্র করে বহু মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এই মন্দির নির্মাণের কাজে অনেক মানুষ নিযুক্ত ছিলেন। মন্দির তৈরি হয়ে যাওয়ার পরেও অনেকেই বিভিন্ন কাজ করছেন। দেখে ভাল লাগছে। এটা যে শুধু তীর্থস্থান না হয়ে মানুষের খাবার জোগাচ্ছে, সেটাই সবচেয়ে তৃপ্তির জায়গা।’’