স্বামী অমন মেহত ও মামা সঞ্জয় লীলা ভন্সালির মাঝে শর্মিন। ছবি: সংগৃহীত।
‘হীরামন্ডি’ ওয়েব সিরিজ়ে আলমজেব চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে শার্মিন সেহগলকে। বড় পর্দার পরিচিত মুখ নন তিনি, তবে তাঁর পারিবারিক কৌলিন্য রীতিমতো সমীহ জাগানো।
অভিনেত্রী হিসাবে এখনও জনপ্রিয় না হয়ে ওঠা শার্মিন শৈশব থেকেই বলিউডের সঙ্গে যুক্ত। মামা খোদ সঞ্জয় লীলা ভন্সালী। মা বেলা সেহগল হিন্দি চলচ্চিত্র জগতের সম্পাদক। ‘দেবদাস’, ‘ব্ল্যাক’, ‘খামোশি’ মতো ছবির সম্পাদনার দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। তাঁর মেয়ের এ বার বড় পর্দায় অভিষেক হল। কিন্তু সিরিজ়টি মুক্তির পর থেকেই ক্রমাগত সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে শার্মিনকে।
ভাগ্নিকে ছবিতে নেওয়ায় স্বজনপোষণের অপবাদ জুটেছে ভন্সালীর কপালে। শার্মিনকে ‘অভিব্যক্তিহীন’ এক শিল্পীর তকমা দিয়েছেন নেটাগরিকরা।
শার্মিনের মা বা মাতুলের পরিচয় তো পেলেন, বিবাহিত শার্মিনের স্বামীর পরিচয়ে আসা যাক। গত বছর নভেম্বর মাসে শিল্পপতি অমন মেহতার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন তিনি। অমনের সম্পত্তির পরিমাণ শুনলে মাথা ঘুরে যায়!
প্রায় ৫৩,৮০০ কোটি টাকার সম্পত্তির অধিকারী অমন। ‘টোরেন্ট ফার্মাসিউটিকল’ হল অমন মেহতার পারিবারিক ব্যবসা। এ ছাড়াও এই কোম্পানিরই ছাতার তলায় রয়েছে ‘টোরেন্ট পাওয়ার’, ‘টোরেন্ট গ্যাস’, ‘টোরেন্ট কেবল’-এর মতো ব্যবসা। এই সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা অমনের বাবা সুধীর মেহতা। যদিও এই মুহূর্তে ব্যবসার যাবতীয় দেখাশোনা করেন অমনই। অমন বস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। অর্থনীতিতে স্নাতক। তার পর ‘কলোম্বিয়া বিজ়নেস স্কুল’ থেকে এমবিএ করেছেন।
স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য শার্মিন নিজেও নিউইয়র্কে চলে যান। সেখানে গিয়ে অভিনয়ের প্রশিক্ষণ নেন। কানাঘুষো শোনা যায়, ছোটবেলা থেকেই সঞ্জয়ের সঙ্গে ছবির সেটে উপস্থিত থাকতেন শার্মিন। সঞ্জয় যখন ‘দেবদাস’ ছবির শুটিংয়ে ব্যস্ত,, তখন ছবির সেটে গিয়েছিলেন শার্মিন।
ছোট থেকে অভিনয়ের পরিবেশে বড়ে হয়ে উঠলেও তাঁর অভিনয় এই ছবিতে অন্তত দাগ কাটতে পারেনি দর্শকের মনে। গত দু’বছর ধরে শুটিং চলেছিল ‘হীরামন্ডি’-র। সিরিজ় মুক্তির আগেই বিয়ে করেছিলেন শার্মিন।