Shah Rukh Khan

১৯৯৪ সালে কী এমন কাজ করেছিলেন শাহরুখ, যার মাশুল গুনতে হচ্ছে এত বছর পরে?

শাহরুখ মৃত্যুর হুমকি পেয়েছেন সম্প্রতি। তার নেপথ্যে রয়েছে ১৯৯৪ সালের কোন ঘটনা?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২৪ ১৩:১৬
Share:

কোন ভুলের মাশুল গুনছেন শাহরুখ খান। ছবি: সংগৃহীত।

সম্প্রতি ছত্তীসগঢ়ের রায়পুর থেকে খুনের হুমকি বার্তা পান শাহরুখ খান। জানা গিয়েছে, ফায়জ়ান খান নামে এক ব্যক্তির ফোন থেকে এই হুমকি আসে। ঘটনার পরে মুম্বই পুলিশ একটি মামলা দায়ের করে। ইতিমধ্যেই মুম্বই পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে মুম্বই ডেকে পাঠিয়েছে। সেখানেই তিনি জানান, চলতি বছরই তিনি শাহরুখের নামে অভিযোগ দায়ের করেন ১৯৯৪ সালে ‘অনজাম’ ছবিতে অভিনেতার মুখে একটি সংলাপের কারণে।২ নভেম্বর জন্মদিন ছিল শাহরুখের। প্রতি বছর জন্মদিনের রাতে মন্নতের ছাদে এসে অনুরাগীদের দেখা দেন তিনি। কিন্তু এ বার ব্যতিক্রম হয়েছে। প্রকাশ্যে আসেননি তিনি। বরং কড়া নিরাপত্তায় ঘেরা ছিল তাঁর বাড়ি। বাড়ির সামনে যাতে বেশি ভিড় না জমে, সে দিকেও নজর রেখেছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা।

Advertisement

এর আগে ২০২৩ সালে অক্টোবর মাসেও খুনের হুমকি এসেছিল শাহরুখের কাছে। ‘পাঠান’ ও ‘জওয়ান’ ছবি সফল হওয়ার পরের ঘটনা এটি। ঘটনার পরে মুম্বই পুলিশ শাহরুখকে ওয়াই প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দিয়েছিল। এ বার সলমন খানকে ধারাবাহিক ভাবে হত্যার হুমকি এবং বাবা সিদ্দিকির মৃত্যুর পর নিজের নিরাপত্তা নিয়ে বাড়তি সচেতন বাদশা। সম্প্রতি শাহরুখের কাছে যে হুমকি ফোন গিয়েছে, সেখানে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। সেই অর্থ দিলে তবেই নাকি ছাড় পাবেন বাদশা। কিন্তু তদন্তের পর জানা যায়, পেশায় উকিল ফায়জ়ানের গত ২ নভেম্বর ফোন খোয়া গিয়েছিল। এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন ফায়জ়ান। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ফায়জ়ান বলেন, ‘‘আমার ফোন চুরি হয়েছে ২ নভেম্বর। সেখান থেকে অন্য কেউ এই হুমকি পাঠিয়েছে। মুম্বই পুলিশকেও সে কথা জানিয়েছি। যে দিন ফোন চুরি যায়, সেই দিনই স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলাম।’’

যদিও পুলিশি তদন্তে এই বিষয়টি নিশ্চিত করা হয় যে, আইনজীবীর ছিনতাই হওয়া ফোন থেকেই শাহরুখকে হুমকি পাঠানো হয়েছে। অবশ্য তিন এর আগে শাহরুখের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিলেন। ১৯৯৪ সালে শাহরুখের ছবি ‘আনজাম’-এ হরিণ শিকার সংক্রান্ত কিছু সংলাপের বিষয়ে আপত্তি তুলেছিলেন ওই আইনজীবী। ফায়জ়ানের দাবি, ‘‘আমি রাজস্থান থেকে এসেছি। বিশ্নোই সম্প্রদায় আমার বন্ধু। হরিণ রক্ষা করা তাঁদের ধর্ম। সুতরাং কোনও ব্যক্তি যদি হরিণ সম্পর্কে এ ধরনের কোনও মন্তব্য করেন তা নিন্দনীয়। তাই আমি আপত্তি তুলেছিলাম।’’ যদিও তাঁর ফোন থেকে হুমকি বার্তা পাঠানোর বিষয়টি ‘ষড়যন্ত্র’ বলে দাবি করেছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement