রগরগে বলিউডি রোম্যান্স দেখতে ভাল লাগে না? ভূতের ছবি দেখলে তিন রাত্রি চোখের পাতা এক করতে পারেন না? হার্ডকোর কমার্শিয়াল ছবিতে অ্যালারজি? এই লকডাউনে আপনার জন্য রইল দশটি অফবিট বলিউড ছবির লিস্ট। সুখবর হল, এই প্রতিটি ছবিই আপনি পেয়ে যাবেন একেবারে নিখরচায়। সৌজন্যে ইউটিউব। গ্রাফিক: তিয়াসা দাস
আ ডেথ ইন দ্য গঞ্জ: কঙ্কনা সেনশর্মা পরিচালিত এই ছবি আদপে ‘আ ট্রিট টু ওয়াচ’। নাম শুনেই বুঝতে পারছেন রয়েছে রহস্য। বাড়তি পাওনা হিসেবে রয়েছে, বিক্রান্ত মেসি, ওম পুরি, কল্কি কেকলা এবং রণবীর শোরের অনবদ্য অভিনয়। ইউটিউবে পেয়ে যাবেন, এক টাকাও খরচ করতে হবে না।
সত্য: মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯৮ সালে। অভিনয়ে ঊর্মিলা মাতণ্ডকর, মনোজ বাজপেয়ী এবং পরেশ রাওয়াল। চিত্রনাট্য লিখেছেন সৌরভ শুক্ল এবং অনুরাগ কাশ্যপ। সঙ্গীত পরিচালনায় বিশাল ভরদ্বাজ। বুঝতেই পারছেন, যাকে বলে ‘ডেডলি কম্বিনেশন’। সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়ে ছিল এই ছবি। এই সিনেমার বিখ্যাত ‘স্বপ্নে মে’ তো আজও একই ভাবে জনপ্রিয়। এই ছবিও পেয়ে যাবেন একেবারে বিনামূল্যে।
দ্য জাপানিজ ওয়াইফ: মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন রাহুল বোস। পরিচালনায় অপর্ণা সেন। আপনার ভার্চুয়াল জগতে এমন কোনও বন্ধু রয়েছে যে আপনার জীবনের অনেকটা জুড়ে কিন্তু বাস্তব জীবনে কোনওদিনও দেখা হয়নি আপনার। ফেসবুকে এমনটা তো আকছারই হয়। এমনই এক ‘পেন ফ্রেন্ড’ কে নিয়েই এই ছবি। দেখতে পারেন।
ফায়ার: ১৯৯৬ সালে দাঁড়িয়ে সমকামিতা নিয়ে ছবি করার সাহস বোধহয় একমাত্র দীপা মেহতাই দেখাতে পেরেছিলেন। মুখ্য ভূমিকায় শাবানা আজমি এবং নন্দিতা দাসের মতো জাঁদরেল দুই অভিনেতা। নেটফ্লিক্স, আমাজনে পয়সা খরচা করতে হবে না। ইউটিউবেই পেয়ে যাবেন।
ইজাজত: ১৯৮৭ সালে মুক্তি পেয়েছিল এই ছবি। পরিচালনায় ছিলেন গুলজার। লেখক সুবোধ ঘোষের ‘জতুগৃহ’ গল্প অবলম্বনে এই ছবি বুনেছিলেন তিনি। প্রধান চরিত্রে রেখা এবং নাসিরুদ্দিন শাহ। সুধা এবং মহেন্দ্রর এক না বলা গল্প জানতে আপনি দেখে নিতেই পারেন এই ছবি।
আ ওয়েডনেস ডে: কথায় আছে, ‘মঙ্গলে উষা বুধে পা, যথা ইচ্ছা তথা যা’। মোদ্দা কথা, বুধবার শুভ দিন, কিন্তু এই ছবি দেখলে আপনার সেই ধারণা বদলে যাবে রাতারাতি। এই ছবি আপনার অ্যাড্রিনালিন রাশ বাড়াতে বাধ্য। মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন নাসিরুদ্দিন শাহ। নিজের অভিনয় ক্ষমতার প্রায় পুরোটা ঢেলে দিয়েছেন তিনি এই ছবিতে। এই লকডাউনে দুপুরে ভাতঘুমের পর পরিবারের সঙ্গে দেখে নিতেই পারেন এই ছবি।
সালাম বম্বে: অস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছিল ১৯৮৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবি। শুধু ভারতেই নয়, সারা বিশ্বে এই ছবি প্রশংসিত হয়েছিল। পরিচালনায় ছিলেন মীরা নায়ার।
ব্যান্ডিট কুইন : ফুলন দেবীকে নিয়ে মালা সেনের বই ‘দ্য ট্রু স্টোরি অব ফুলন দেবী’। আর সেই বইকে কেন্দ্র করেই শেখর কপূর নিয়ে এসেছিলেন এই ছবি। মুখ্য ভূমিকায় সীমা বিশ্বাস। চম্বলের তথাকথিত ডাকাত রানির জার্নি আপনাকে নিয়ে যাবে এক অন্য দুনিয়ায়। দেখতে পারেন। ইউটিউবে রয়েছে।
মনসুন ওয়েডিং: পারিবারিক গল্প। এক পঞ্জাবী পরিবারকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এই ছবির প্লট বুননে রয়েছেন সাবরিনা ধওয়ন। পরিচালনায় মীরা নায়ার। অভিনয়ে রয়েছেন, নাসিরুদ্দিন শাহ, শেফালি শাহ এবং বসুন্ধারা শাহ সহ অনেকে।
ওয়াটার: আন্ডাররেটেড বলিউড ছবিগুলির মধ্যে একটি। জন আব্রাহামকে এমন চরিত্রে আপনি আগে দেখেননি। এই ছবিটিও আপনি ইউটিউবে পেয়ে যাবেন। দেখে ফেলতে পারবেন নিখরচায়। এই প্রতিবেদনে কঙ্কনা সেনশর্মা-র পরিবর্তে কঙ্কনা সেনগুপ্ত লেখা হয়েছিল। অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য আমরা দুঃখিত তাহলে আর কী? আজ থেকেই দেখা শুরু করুন এই অফবিট ছবিগুলি।