দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে। বিখ্যাত এই ছবি দেখেননি, এরকম লোক কমই আছেন। কিন্তু এই ব্লকবাস্টার ফিল্মেও ছিল বেশ কিছু ভুল। অন্তত তেমনটাই দাবি সিনেপ্রেমীদের একাংশের। পর্দায় সেই ভুলগুলো দেখেছেন আপনিও। কিন্তু ধরতে পেরেছেন কি?
সিমরনের বাবা চৌধুরি বলদেব সিংহ লন্ডনে যখন পায়রাদের দানা দিতেন, তখন কোনও কথা বলতে শোনা যায়নি তাঁকে। অথচ পঞ্জাবে পায়রাদের খাওয়ানোর সময় ‘আও আও…’ ডায়লগ বিখ্যাত। পায়রাদের মধ্যেও কি পার্থক্য রয়েছে?
তখন রাজ-সিমরনের সম্পর্কের শুরুই হয়নি। ট্রেনের সফর। খুলে যাওয়া সুটকেস পরিপাটি করে গুছিয়ে ফেললেন সিমরন। ট্রেনের মেঝে খালি। ঠিক পরের শটেই আচমকা রাজের হাতে কী ভাবে চলে এল সিমরনের অন্তর্বাস?
করবা চৌথের দিন। রাজের হাত থেকেই প্রথম খাবার খাবে সিমরন। মনে মনে সেই প্ল্যান করে রেখেছে। যখন সবার সামনে অসুস্থ হওয়ার নাটক করে রাজের হাত থেকে খাবার খেয়ে সেই ইঙ্গিত করলেন, চার দিকে দাঁড়িয়ে থাকা আর কারও চোখে পড়ল না ঘটনাটা?
সিমরনের বাড়িতে গিয়ে কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই সব আত্মীয়দের আলাদা আলাদা করে চিনে ফেলেছিলেন রাজ। বাস্তবে কি তা সম্ভব?
এ বার স্টেশনে সিমরনের সেই বিখ্যাত দৌড়নোর দৃশ্যের কথা ভাবুন। বাবা রাজি হয়ে মেয়ের হাত ছেড়ে দিয়েছেন। রাজ দাঁড়িয়ে আছেন চলন্ত ট্রেনের দরজায়। কিন্তু সিমরনের সামনেই ট্রেনের একটা দরজা ছিল। সেখান দিয়ে অনায়াসেই উঠে যেতে পারতেন তিনি। রাজের দরজার দিকে দৌড়তে গেলেন কেন?
লন্ডন থেকে সিমরনের পুরো পরিবার পঞ্জাব চলে যায়। কারণ পরের দিন সিমরনের খোঁজে রাজ লন্ডনের বাড়িতে গিয়ে দেখে, পরিবারের সকলেই চলে গিয়েছেন। এক রাতের মধ্যে সব কিছু বিক্রি করে ও ভাবে চলে যাওয়া সম্ভব?
মার খেয়ে রক্তাক্ত মুখে ট্রেনের দরজায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন রাজ। সিন শুরুর সময় পাশের জানলায় দেখা যাচ্ছে ওড়না মাথায় দেওয়া এক মহিলাকে।
কিন্তু সিমরন দৌড়ে এসে যখন রাজের হাত ধরে উঠবেন ট্রেনে, অর্থাত্ সিন শেষের সময় ওই একই জানলার পাশে বসে রয়েছেন এক পুরুষ। কন্টিনিউটি স্পষ্ট নষ্ট হয়েছে এই দৃশ্যে।
সিমরনের বিয়েটা কোথায় হচ্ছিল মনে আছে তো? পঞ্জাবে। কিন্তু যখন বাবার হাত ছাড়িয়ে সিমরন সেই স্বপ্নের দৌড় শুরু করে, সেটা কোন স্টেশন থেকে? স্ক্রিনে দেখা গিয়েছিল ‘আপ্টা’। যেটা মুম্বইয়ের কাছেই। তা হলে সিমরনের বিয়েটা হচ্ছিল কোথায়?
রাজ-সিমরনের সম্পর্কটা তখন বাড়িতে সকলেই জানেন। সিমরনের বাড়ি থেকে কিছুতেই মেনে নেওয়া হবে না। হিন্দি সিনেমার প্রত্যাশিত মারপিট। কিন্তু খালি হাতে স্টেশনে পৌঁছনো রাজ হঠাত্ করে বন্দুক পেলেন কী করে?
সিমরনের সব কিছু হারিয়ে গিয়েছিল মনে আছে? এমনকি পাসপোর্টও তাঁর সঙ্গে ছিল না। কিন্তু সে অবস্থাতেও রাজের সঙ্গে আলাদা আলাদা পোশাকে দেখা গিয়েছিল নায়িকাকে। এও কি সম্ভব?