ডিজাইনার লাল লেহেঙ্গা, মানানসই গয়না, ফুলের মালা। তৃণমূল সাংসদ তথা টলি অভিনেত্রী নুসরত জাহানকে এই লুকে আপনি আগে দেখেননি। বিয়ের রাতে ঠিক এমনটাই সেজেছিলেন নায়িকা।
তুরস্কের বোদরুমে গতকাল পেশায় ব্যবসায়ী নিখিল জৈনকে বিয়ে করলেন নুসরত। টলিউড থেকে একমাত্র আমন্ত্রিত ছিলেন নুসরতের প্রিয় বান্ধবী মিমি চক্রবর্তী।
‘টুওয়ার্ডস আ হ্যাপিলি এভার আফটার উইথ নিখিল জৈন’— বিয়ের প্রথম ছবি শেয়ার করে সোশ্যাল ওয়ালে এমনটাই লিখলেন নুসরত।
‘এনজেঅ্যাফেয়ার’। এটাই ছিল নিখিল এবং নুসরতের বিয়ের সোশ্যাল ওয়ালে ব্যবহৃত হ্যাশট্যাগ। মূল অনুষ্ঠানের ডিজাইনেও ব্যবহার হয়েছে এই বিশেষ হ্যাশট্যাগ। আংটি বদলেও ছিল তার ছাপ।
গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান হয়েছিল নুসরতের কলকাতার বাড়িতেই। উপস্থিত ছিলেন ঘনিষ্ঠরা। লাল শাড়ি, সোনার গয়না, ফুলের মালার সাজে সেজেছিলেন নুসরত।
মিমি-নুসরতের বন্ধুত্বের খবর টলিউডে অনেকেই জানেন। তবে নায়িকা তনুশ্রী চক্রবর্তীও নুসরতের খুব কাছের। গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তিনি।
নিজে হাতে নুসরতকে হলুদ মাখিয়ে দিয়েছেন তনুশ্রী। সোশ্যাল ওয়ালে সে ছবি শেয়ার করেছেন। প্রিয় বন্ধুর আগামী শুভ হোক, এই বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন প্রতিনিয়ত।
এ বার নুসরতের পালা। তনুশ্রীর গায়ে হলুদ লাগিয়ে দিতে তিনিও ছাড়েননি। ফ্রেমবন্দি হয়েছে বন্ধুত্ব।
বাবার আদরের মেয়ে। ঘরে-বাইরে বহু দায়িত্ব সামলান তিনি। কিন্তু গায়ে হলুদে ইমোশনাল হয়ে পড়েছিলেন নুসরত। বাবাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলেছিলেন।
পেশায় ব্যবসায়ী নিখিলের সঙ্গে নুসরতের কাজের মাধ্যমেই আলাপ। পরে তা গড়ায় গভীর বন্ধুত্বে। দুই বাড়ির সম্মতিতেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দম্পতি।
দেশে ফিরে ২৫ জুনের পরে আইনি মতে বিয়ে সারবেন নুসরত-নিখিল। এক-একটি অনুষ্ঠানের জন্য থিম অনুযায়ী পোশাক বেছেছিলেন নিখিল-নুসরত।
প্রতিটি অনুষ্ঠানেই খাওয়াদাওয়ার বিস্তর আয়োজন ছিল। তবে বিয়ের দিন মেনুতে ছিল স্থানীয় কুইজ়িন এবং ভারতীয় খাবার।
শোনা যাচ্ছে, বিয়ের পরে ইউরোপের কোনও জায়গায় মধুচন্দ্রিমায় যাবেন নব দম্পতি।