হর্ষবর্ধন কপূর ও অনিল কপূর। ছবি: সংগৃহীত।
অত্যধিক সৌন্দর্যের জন্য অস্কারজয়ী ছবিতে সুযোগ পাননি! এমনই দাবি করলেন অনিল কপূরের পুত্র হর্ষবর্ধন কপূর। তাঁর এই বেফাঁস মন্তব্যের জেরেই সমাজমাধ্যমে কটাক্ষের মুখে পড়লেন বলি অভিনেতা। উঠল বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগ। অস্কারজয়ী ‘লাইফ অফ পাই’ ছবিতে মুখ্য চরিত্রের জন্য অডিশন দিয়েছিলেন, কিন্তু প্রত্যাখ্যান করা হয় তাঁকে।
পরবর্তীকালে এই চরিত্রে অভিনয় করেন সুরজ শর্মা। যা রীতিমতো দর্শকের মনে নাড়া দিয়েছিল। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বললেন, “আমার অডিশন ভালই হয়েছিল। কিন্তু আমার সুন্দর চেহারার জন্য আমাকে বাদ দেওয়া হয়। ‘পাই’ চরিত্রটি দক্ষিণ ভারতের পুদুচেরির আর আমি দেখতে…” এই পর্যন্ত বলার পরে হঠাৎ উপলব্ধি করেন বক্তব্য খানিক অন্য দিকে চলে যাচ্ছে। মুহূর্তে কথার মাঝে হোঁচট খেয়ে বললেন, “আমি আসলে অনেকটা শহুরে তো!”
সুন্দর চেহারার জন্য 'লাইফ অফ পাই' ছবি থেকে বাদ পড়েন হর্ষবর্ধন?
মুহূর্তে সাক্ষাৎকারের ভিডিয়ো ভাইরাল সমাজমাধ্যমে। একের পর এক তির্যক মন্তব্য ধেয়ে আসে। অনেকের বক্তব্য, “তিনি কি বলতে চেয়েছেন দক্ষিণ ভারতীয়রা কুৎসিত দেখতে!” কারও বক্তব্য, “বোঝাই যাচ্ছে সোনম কপূরের ভাই। একই রক্ত বইছে শরীরে!” কেউ বলেছেন, “অনিল কপূরের জন্যই অডিশন পর্যন্ত পৌঁছতে পেরেছে!” ‘স্লামডগ মিলিওনেয়ার’ ও ‘মিশন ইমপসিবল’ ছবির পরে হলিউডে যোগাযোগ তৈরি হয়েছে অনিল কপূরের। সেই প্রসঙ্গ ধরে দর্শকের বক্তব্য, “হলিউডে ভাই-বোনের সুযোগ করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন অনিল কপূর। কিন্তু ওরা তো একটা অডিশনও উতরোতে পারেনি!” শহুরে চেহারা নিয়ে অনেকে লিখেছেন, “পুদুচেরিও যথেষ্ট শহুরে এলাকা।”
‘মির্জ়া’ ছবির মাধ্যমে অভিনেতা হিসাবে আত্মপ্রকাশ হর্ষবর্ধনের। তার আগে ‘বম্বে ভেলভেট’ ছবিতে সহকারী পরিচালক ছিলেন। ঝুলিতে আরও কয়েকটি ছবি থাকলেও ইন্ডাস্ট্রিতে সে ভাবে নজরে আসতে পারেননি অভিনেতা। তার উপর এই ধরনের বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে দর্শকের চোখে আরও খানিকটা পিছিয়ে পড়লেন অভিনেতা? উত্তর সময় দেবে।